নভেম্বরেই দেওয়া হতে পারে বাচ্চাদের করোনা ভ্যাকসিন, শুরু প্রক্রিয়া! কিন্তু তালিকার প্রথমেই কারা?
কয়েকটা জায়গাতে নতুন করে বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ। যা যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে। যদিও দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের কাজ এগোচ্ছে। কিন্তু শিশুদের এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। আর সেখানে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব শীঘ্রই বাচ
কয়েকটা জায়গাতে নতুন করে বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ। যা যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে। যদিও দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের কাজ এগোচ্ছে। কিন্তু শিশুদের এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। আর সেখানে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব শীঘ্রই বাচ্চাদের টিকাকরণের কাজ শুরু হতে চলেছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সরকারি প্যানেল কোমোর্বিটি অর্থাৎ শারীরিক অসুস্থতা সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করছে। আর সেদিকে তাকিয়ে শিশুদের ভ্যাকসিনের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
শিশু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে
বিভিন্ন প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে শিশু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সংবাদমাধ্যমকে সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একাধিক ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে বিপদমুক্ত বাচ্চাদের ভ্যাকসিনেশন পর্ব শুরু করা যায় সেই বিষয়েই মূলত দফায় দফায় আলোচনা উচ্চস্তরে চলছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, যেহেতু বাচ্চাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেই কারনে এত চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই কোমোর্বিটি সংক্রান্ত আলাদা একটি তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র, এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিক।
আগামী মাস থেকেই শুরু হতে পারে
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাচ্চাদের করোনা টিকাকরনের প্রক্রিয়া আগামী মাস থেকেই শুরু হতে পারে। আর তা হবে পর্যায়ক্রমে। আর ভ্যাকসিনেশনের শুরু ১২ বছর কিংবা এর থেকে বেশী বয়সের বাচ্চাদের দিয়ে শুরু হতে পারে। এমনটাই দাবি ওই আধিকারিককের। শুধু তাই নয়, এই তালিকাতে প্রথমে রাখা হতে পারে সেই সমস্ত বাচ্চাকে যাদের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় বেশি রয়েছে।
বাচ্চাদের উপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে
উল্লেখ্য, Zydus Healthcare এর তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ZyCoV-D ইতিমধ্যে ১২ এর বেশি বয়সি বাচ্চাদের উপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আর এরপরেই গত মাসে এই ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ভ্যাকসিনই দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে তেমন কিছু জানাননি ওই সরকারি আধিকারিক। এই মুহূর্তে দেশের একাধিক ভ্যাকসিন তৈরি সংস্থা বাচ্চাদের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে।
আশার কথা শুনিয়েছেন সিরাম
গত কয়েকদিন আগে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন সিরাম (Serum Institute of India) ইনস্টিটিউটের সিইও (SII, CEO) আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, বাচ্ছদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে Covovax বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক কারণ রয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা তাঁর।