উন্নাওকাণ্ডের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠনের কথা ঘোষণা যোগীর
উন্নাওকাণ্ডের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠনের কথা জানিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, 'অপরাধীদের কঠোর সাজার ব্যবস্থা করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সরকার। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বসিয়ে এই মামলার নিষ্পত্তি করা হবে।' এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উরত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যও।
|
উত্তরপ্রদেশের বিচারমন্ত্রীর বক্তব্য
উত্তরপ্রদেশের বিচারমন্ত্রী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, 'যা হয়েছে তা খুবই দুঃখের। আজ আমাদের মাঝে আর সেই তরুণী নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট কোর্টের কাছে আবেদন জানাব যাতে যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার নিষ্পত্তি হয়।' এছাড়া তিনি বলেন, 'উন্নাওতে গত ১১ মাসে মোট ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সব ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে অযথা এই সব ঘটনার সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানো উচিত হবে না।'
|
উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদে ধরনায় বসেছেন অখিলেশ
এদিকে উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বাইরে ধরনায় বসেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'এই ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জার। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটা গণতন্ত্রের একটি কালো দিন। রাজ্যে বিজেপি সরকারের সময় এই ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম না। এরকম ঘটেই চলেছে হর হমেশা। বিধানসভায় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন অপরাধীও ঠোক দিয়া যায়গা। কিন্তু আমাদের মেয়েকে বাঁচাতে অসমর্থ এই সরকার।'
|
অখিলেশের বক্তব্য
এরপর তিনি অভিযোগ সরাকরকে তোপ দেগে বলেন, যত দিন যোগী আদিত্যনাথ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবে, ততদিন এই রাজ্যে এরকমই চলবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিপ ও ডিজিপির পদত্যআগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আগামীকাল উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদে এক শোকসভা করব।
দ্রুত ন্যায় বিচার চাইলেন নির্যাতিতার বাবা
এদিকে হায়দরাবাদের মত এই ক্ষেত্রেও দ্রুত ন্যায় বিচার চাইলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, 'এদেরকে দৌড় করিয়ে গুলি করা হোক বা দ্রুত ফাঁসিতে চড়ানো হোক।' এরপর প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, 'প্রশাসন আমাকেকে আমার মেয়ের মৃত্যুর খবর দেয়নি। এদিকে ওই পাঁচজন আমাদেরও প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে অনবরত।'
গত বছরের ডিসেম্বরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন
গত বছরের ডিসেম্বরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন উন্নাওয়ের ২৩ বছরের তরুণী। বৃহস্পতিবার রায়বরেলির আদালতে মামলার শুনানিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় উন্নাওয়ের সিন্দুপুর গ্রামের বাইরে ৫ জন তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়, ছুরি মারা হয়, তারপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শরীর।
গতরাতে দিল্লিতে মারা যান নির্যাতিতা
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন ধর্ষণকারীও ছিল বলে অভিযোগ। বাঁচার প্রবল চেষ্টায় সেই অবস্থাতেই এক কিলোমিটারের বেশি ছুটে আসেন মেয়েটি। অবশেষে একজনকে দেখতে পেয়ে সাহায্য চান। ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া অবস্থায় লখনউয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি অবনতী হতে এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে আসা হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে।