গত এক দশকে উত্তরাখণ্ডে ৭০০-র বেশি ভূমিকম্প! বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য তৈরি থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য তৈরি থাকার পরামর্শ
গত একদশকে উত্তরাখণ্ডে কমপক্ষে ৭০০ টি ছোট ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমালয়ের এই অংশে একটি বড় ভূমিকম্প যে কোনও সময় হতে পারে। যার জন্য তৈরি থাকতে হবে। সরকারি সংস্থা ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে ভূমিকম্পগুলির বেশিরভাগের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৩-এর কম ছিল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এর মাত্রা ৪ কিংবা তার বেশি ছিল।
ভূমিকম্প পরীক্ষায় আরও যন্ত্র
গত রবিবারেও উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলের তার পরিমাপ ছিল ৪.৫। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তেহরিতে। ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির তরফে উত্তরাখণ্ড জুড়ে ভূমিকম্প অনুমান করতে ১৫ মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়াও উত্তর-পশ্চিম হিমালয় জুড়ে আরও ৫৫ টি মেশি বসানো হয়েছে, খুব কম মাত্রার ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ পরিমাপ করতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্রের আশপাশে সর্বাধিক কম্পন অনুভূত হয়।
বড় থেকে তীব্রতর ভূমিকম্পের অপেক্ষা
এলাকায়
একটি
বড়
থেকে
তীব্রতর
ভূমিকম্প
অপেক্ষা
করছে।
এব্যাপারে
সবাইকে
প্রস্তুত
থাকার
কথা
বলেছে
ওয়াদিয়া
ইনস্টিটিউট
অফ
হিমালয়ান
জিওলজি।
যার
করতে
মক
ড্রিল
থেকে
শুরু
করে
ভূমিকম্পে
হতাহতের
সংখ্যা
কমাতে
ভূমিকম্পরোধী
নির্মাণ
পরিচালনা
করার
কথাও
বলছে
ওই
সংস্থা।
সেখানকার
বিজ্ঞানীরা
বলছেন,
জাপান
এমন
একটি
দেশ
যেখানে
একাধিক
বড়
কম্পন
হলেও,
হতাহতের
সংখ্যা
কম।
তাই
এখন
থেকেই
ভূমিকম্পরোধী
কাজ
করতে
হবে।
পাশাপাশি
সচেতনতা
বৃদ্ধিও
করতে
হবে,
যাতে
বড়
কোনও
ভূমিকম্প
হলে
তার
প্রভাব
কম
পড়ে।
সেন্ট্রাল সিসমিক গ্যাপে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা
হিমাচল প্রদেশের কংড়ায় ১৯০৫ সালে এবং বিহার-নেপাল সীমান্তে ১৯৩৪ সালে বড় ভূমিকম্প হয়। তারপর সেন্ট্রাল সিসমিক গ্যাপে ৬ থেকে ৭ মাত্রার বড় ভূমিকম্প কিংবা ৮ মাত্র অতিপ্রবল ভূমিকম্প যে কোনও সময় হতে পারে। উত্তরাখণ্ড রাজ্য রয়েছে সেন্ট্রাল সিসমিক গ্যাপে। এই এলাকায় রাস্তা, রেল ছাড়াও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বড় নির্মাণ কাজ চলছে। উত্তরাখণ্ডের পাথর অত্যন্ত ভঙ্গুর হওয়ার কারণে সেইসব নির্মাণ কাজ এলাকার ভূতত্ত্বের ওপরে নির্ভর করে করা হচ্ছে কিনা সেব্যাপারে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
নির্মাণকাজে ভূমিকম্প প্রতিরোধী প্রযুক্তি জরুরি
উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ে বহু টানেল তৈরি করা হচ্ছে। যদি নির্মাণ কাজের সময় ভূমিকম্প প্রতিরোধী প্রযুক্তি না ব্যবহার করা হয়, তাহলে ভূমিকম্পের এইসব টানেলের ওপরে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলেই গবেষকরা। ফলে ধরেই নেওয়া যায় ভূমিকম্প প্রতিরোধী প্রযুক্তির ব্যবহারেই অধিকাংশ কাজ করা হচ্ছে।
করোনায় মৃত্যুহীন দেশ, ২০২০ সালের মার্চের পর এই প্রথম