বেলুনে চড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা আসছে উত্তরাখন্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে
ওয়াইফাই দিয়ে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ডিজিটাল মানচিত্রে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিকে জুড়তে বেলুন ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
উত্তরাখন্ড রাজ্যের বেশিরভাগটাই পাহাড়ে ঘেরা। এরাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া তাই খুবই মুশকিলের। এ সমস্যার সমাধানে বেলুনের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছে উত্তরাখন্ড প্রশাসন। দড়িবাঁধা বড় বড় বেলুনের সাহায্যে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে গ্রামান্তরে। তবে প্রকল্পটি এখনও পরীক্ষামূলক স্তরে আছে। শুক্রবারই দেরাদুনের আইটি পার্কে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের উপস্থিতিতে এরকম প্রথম বেলুনটি ওড়ানো হয়েছে আকাশে।
কিভাবে কাজ করবে এই ইন্টারনেট-বেলুনগুলি? বেলুনের ভেতরে ভরা থাকবে হাইড্রোজেন গ্যাস। বেলুনের গায়ে লাগানো থাকবে নজরদারি ক্যামেরা। পাশাপাশি থাকবে একটি করে ট্রান্সরিসিভার অ্যান্টেনা, ওয়াইফাই মোডেম। ট্রান্সরিসিভার অ্যান্টেনার মাধ্যমে ফোন পরিষেবা ও ওয়াইফাই মোডেমটির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে যাবে প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে। রাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির ডিরেক্টর অমিত সিনহা জানান, বেলুনগুলি লম্বায় হবে ছয় মিটার এবং একটানা ১৪দিন পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারবে। এই বেলুনগুলি তৈরি করছে বম্বে আইআইটটি।
অমিত সিনহা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এরকম প্রতিটি বেলুন স্থাপনায় খরচ পড়ছে ৫০ লক্ষ টাকা করে। এগুলি প্রায় ৭.৫ কিলেমিটার ব্যাসার্ধের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে পারবে। সেই ইন্টারনেটে গতি থাকবে ৫ এমবিপিএস। তিনি বলেন, 'ওই রেঞ্জের মধ্য়ে থাকা সবাই ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন। প্রাথমিকভাবে এই পরিষেবা বিনামূল্যেই দেওয়া হবে। ফলে পাসওয়ার্ড ছা়ড়াই যে কেউ লগ ইন করতে পারবেন।'
উত্তরাখন্ডের ১৬ হাজার ৮৭০টি গ্রামের মধ্য়ে আনুমানিক ৬৮০টি গ্রামে এখনও কোনও মোবাইল পরিষেবা বা ইন্টারনেট নেই। প্রকল্পটির সূচনা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ইন্টারনেট-বেলুনগুলি সবকটি চালু হয়ে গেলে এই অভাব আর থাকবে না। তবে শুধু বেলুন ইন্টারনেটই নয়, সম্প্রতি গারোয়ালের ঘেস গ্রামে আইটিডিএ-র পক্ষ থেকে সৌর শক্তির ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। সেকথা উল্লেখ করে ত্রিবেন্দ্র সিং বলেন, প্রান্তিক গ্রামগুলিকে ডিজিটাল মানচিত্রে সামিল করাটাই রাজ্যের লক্ষ্য।