উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, উদ্ধারকাজে গতি বাড়াচ্ছে এনডিআরএফ, সেনা
উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, উদ্ধারকাজে গতি বাড়াচ্ছে এনডিআরএফ, সেনা
শীতের সকালে সব চুপচাপ। হঠাৎ তীব্র গর্জনের সাথে হুড়মুড়িয়ে পাহাড়ের দেহ বেয়ে নেমে এল উন্মত্ত হড়পা বান। রবিবার সকালে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর থেকেই বিধস্ত উত্তরাখণ্ডের তপোবন ও ধৌলিগঙ্গা লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। উন্মত্ত জলরাশির পথে থাকা যাবতীয় জনজীবনের অস্তিত্ব ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছে প্রকৃতি। নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া হড়পা বানের ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১!
তৃতীয় দিনে উদ্ধারকার্য
রবিবারের ভয়াবহ হড়পা বানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর ভারতের দু'টি উল্লেখযোগ্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১৩টি গ্রাম। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হড়পা বানের জেরে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঋষিগঙ্গায় বাঁধ তৈরির কাজ, জলের তোরে ভেসে গেছেন কর্মীরা। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে উদ্ধারকার্য। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার অলকানন্দা নদী থেকে আরও ৫ জনের দেহ উদ্ধার করেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এসডিআরএফ)।
এখনও নিখোঁজ ১৭৫
উত্তরাখণ্ড রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার রাতেই ২৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও তারপর থেকে সেভাবে নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৩১ জনের দেহ পাওয়া গেলেও পাতালপথের সুড়ঙ্গে যে প্রাণপণে চালানো হচ্ছে উদ্ধারকাজ, এসডিআরএফের তরফে তা জানান মুখপাত্র প্রবীণ আলোক। যদিও হড়পা বানের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন তরজা। এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেও আবার দায়ী করছেন অনেক পরিবেশবিদ।
এনটিপিসির সুড়ঙ্গকে নিয়ে বাড়ছে জল্পনা
এদিকে অলকানন্দা নদী ছাড়াও এনটিপিসির ১.৭ কিলোমিটার লম্বা পাতাল সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৩৫ কর্মীকে উদ্ধার করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এসডিআরএফ কর্মীরা, প্রশাসনিক তরফে খবর এমনই। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ১৮৫ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গেছে, নিখোঁজদের মধ্যে ১৭৩ জনই বাঁধ নির্মাণকর্মী, ১২ জন গ্রামবাসী ও দুইজন পুলিশকর্মী। উদ্ধারকার্য চললেও গতি বাড়ানোর প্রসঙ্গে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রাম পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত। পাশাপাশি জোশিমঠের সেনা হাসপাতালে ভর্তি আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন রাওয়াত। এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ও বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলির প্রায় ২,৫০০ গ্রামবাসীকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য জোগানোর বন্দোবস্ত করেছেন ত্রিভেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফেও।
লালগড়ে নাড্ডার সভায় যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে চলল গুলি