২০১৭-এ সাম্প্রদায়িক হিংসার আঁতুর ঘর ছিল যোগীরাজ্য! কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ খোদ কেন্দ্রের
উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনে এমনিতেই ধরাশায়ী যোগী সরকার। তার ওপর, দেশের সাম্প্রদায়িক হিংসা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের সাপেক্ষে অস্বস্তি বেড়েছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের।
উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনে এমনিতেই ধরাশায়ী যোগী সরকার। তার ওপর , দেশের সাম্প্রদায়িক হিংসা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের সাপেক্ষে অস্বস্তি বেড়েছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের। যে তালিকায়, ২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসায় সবচেয়ে আগে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। উত্তর প্রদেশের বিজেপির যোগী প্রশাসনকে নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি-র এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক পারদ চড়িয়ে দিয়েছে।
এদিন লোকসভায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির জানিয়েছেন , ২০১৭ সালে ৮২২ টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভারতে। তার মধ্যে ১৯৫ টি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ঘটেছে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে। তারপরেই রয়েছে কর্ণাটক, যেখানে ১০০ টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সামেন এসেছে। পরবর্তী স্থানগুলিতে রয়েছে রাজস্থান, বিহার ও মধ্য়প্রদেশ। যেখানে যথাক্রমে, ৯১ টি, ৮৫ টি, ও ৬০ টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সারা দেশে ৭০৩ টি দাঙ্গার ঘটনা সামেন এসেছে, তারও আগে ২০১৫ সালে ৭৫১ টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সারা দেশে ঘটেছে। ফলে ২০১৬ সালের থেকে ২০১৭ সালে যে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাপর পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যানে।
এদিন , লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির জানিয়েছেন , এই সমস্ত হিংসার ঘটনা কোথায়ও সেশ্যাল মিডিয়া থেকে ছড়িয়েছে, কোথাও বা জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গোবলয়ে বিজেপি-র সবচেয়ে শ্ক ঘাঁটি উত্তর প্রদেশ সম্পর্কে এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে প্রাসঙ্গিক।