কৃষক আন্দোলন দমাতে কোমর বেঁধে ময়দানে যোগীর পুলিশ! হাই অ্যালার্টে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন
গতকালই গাজিপুর সীমান্ত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার৷ তবে তা মানতে নারাজ বিক্ষোভরত কৃষকরা। এলাকা খালি করতে বলা হলে গতকাল রাতে ফের ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে৷ সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা রাকেশ টিকাইত বলেন, 'যতক্ষণ না পর্যন্ত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।'
আরও বহু কৃষক যাচ্ছেন গাজিপুর সীমানায়
এদিকে জানা গিয়েছে যে উত্তরপ্রদেশের মুজফফরাবাদ থেকে আরও বহু কৃষক অবস্থান বিক্ষোভের স্থানে আসার জন্যে পা বাড়িয়েছেন। তবে এদের গাজিপুরে পাঁছতে দিতে চায় না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যার জন্যে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে 'ক্র্যাকডাউন' পর্যন্ত করছে। তবে এত করেও আন্দোলনকারী কৃষকদের কতটা রোখা যাবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
গাজিপুর সীমান্তে বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ পরিষেবা বন্ধ
ইতিমধ্যেই গাজিপুর সীমান্তে বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ পরিষেবা বন্ধ করেছে জেলা প্রশাসন৷ গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে কৃষকদের 'দিল্লি চলো' অভিযানের জেরে গাজিপুর সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে৷ গাজিপুরের পাশাপাশি সিংঘু ও টিকরি সীমান্তেও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ৷
অবস্থানের পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
রাকেশ টিকাইত বলেন, 'শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গাজিপুর সীমান্তে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তা সত্ত্বেও সরকার দমননীতি নিয়েছে। এটাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখ।' প্রয়োজন হলে গ্রামাঞ্চল থেকে আরও কৃষকদের আনার হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, 'যতক্ষণ না পর্যন্ত আইন প্রত্যাহার হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।' আন্দোলন জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি৷
দিল্লিতে ঢুকে লালকেল্লার দখল নেন কৃষকরা
২৬ নভেম্বর কৃষকদের আন্দোলনের শুরু থেকেই সিল করে দেওয়া হয় গাজিপুর সীমানা। মঙ্গলবার কৃষকরা ব্য়ারিকেড ভেঙে তাঁদের ট্র্যাক্টর মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত কৃষকদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। এরপর একদল কৃষক পুলিশের বাধা পেরিয়ে দিল্লিতে ঢুকে লালকেল্লার দখল নেন। গতকাল এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন টিকাইত।
লালকেল্লায় ভাঙচুর
এদিকে সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষক বিক্ষোভ ঘিরে হিংসার ঘটনার পর থেকে লালকেল্লার কিছু পুরাকীর্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভেঙে ফেলা হয়েছে বেশ কয়েকটি লাইট। শুধু তাই নয় একটি তথ্যকেন্দ্রে এবং সাধারণতন্ত্র দিবসের কয়েকটি ট্যাবলোতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল।