অবশেষে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীর উপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
উত্তরপ্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ মেনে নিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গত সপ্তাহে বিজনৌরে পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয় সুলেমান নামে ২০ বছরের এক যুবকের। এই গুলি চালানোর ঘটনা মেনে নিল বিজনৌরের পুলিশ প্রধান।
মৃত্যু হয় ১৬ জনের
গত সপ্তাহে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। অনেক জায়গাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের শরীরেই বুলেটের ক্ষত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজনৌর শহরের পুলিশ প্রধান জানান, এক কনস্টেবল আত্মরক্ষার্থে ২০ বছরের যুবক সুলেমানের উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিলেন।
গুলি চলানোরর কথা অস্বীকার করেছিল পুলিশ
তবে এই ঘটনার পরপরই উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধান মিছিলে গুলি চলানোরর কথা অস্বীকার করেছিলেন। তবে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের পুলিশ অফিসারের বক্তব্য কিন্তু অন্য কথা বলছে। তিনি গুলি চালানোর স্বীকার করে নিলেন, 'ওই কনস্টেবলের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তিনি যখন রাইফেলটি ফেরত পেতে চেষ্টা করছিলেন তখন ভিড়ের মধ্যে থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। কনস্টেবল খুব অল্পের জন্য বেঁচে যান। আত্মরক্ষার জন্যই পাল্টা গুলি চালান ওই কনস্টেবল। তাতেই মৃত্যু হয় তার।'
নামাজ পড়তে গিয়েছিল সুলেমান
সুলেমানের পরিবার অবশ্য দাবি করেছে যে আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন তিনি। কোনওরকম প্রতিবাদের মধ্যে সুলেমান ছিলেন না বলে তাঁর পরিবারের দাবি। নমাজ পড়তে গিয়ে তিনি গোলমালের মধ্যে পড়ে যান এবং পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান বলে দাবি করেছেন তাঁরা। সুলেমানের দাদা শোয়েব মালিক বলেন, 'আমার ভাই নমাজ পড়তে গিয়েছিল। কয়েকদিন ধরে সে জ্বরে ভুগছিল। সে বাড়ির কাছের মসজিদে যায়নি। কিছু দূরে এক মসজিদে গিয়েছিল। সে যখন মসজিদ থেকে বেরোয়, বাইরে লাঠিচার্জ হচ্ছে, টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটছে। পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে।'