ধর্ষণের ঘটনায় ফের উত্তাল উত্তরপ্রদেশ! সিভিল সার্ভিস চলাকালীন কলেজ হস্টেলে ধর্ষিতা নাবালিকা
ধর্ষণের ঘটনায় ফের উত্তাল উত্তরপ্রদেশ! সিভিল সার্ভিস চলাকালীন কলেজ হস্টেলে ধর্ষিতা নাবালিকা
হাথরাস গণধর্ষণের পর প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগে রীতিমতো মুখ পুড়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। ওই ঘটনার পর থেকেই নারী নিরাপত্তা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে ফের বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায়। এমতাবস্থায় ফের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল ঝাঁসির এক পলিটেকনিক কলেজে। ওই কলেজে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই সময়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। যার জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমাজের বিভিন্ন মহলে।
টাকা ছিনতাইয়েরও অভিযোগ
এদিকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সেন্টার পড়ার কারণে পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছিল ঝাঁসির ওই কলেজ চত্বর। কিন্তু তারমাঝেও কিভাবে ঘটল এমন ঘটনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, কয়েকজন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীই প্রথমে ওই তরুণীর কান্না শুনতে পান। তারপর ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। সেখানেই ওই তরুণী সব ঘটনার কথা খুলে বলে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। তরুণীর বক্তব্য অনুযায়ী, এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ওই কলেজে যান তিনি। সেখানেই দ্বিতীয় বর্ষের কিছু পড়ুয়া তাঁকে হোস্টেলের ভিতর বলপূর্বক নিয়ে যায় এবং একজন তাঁকে ধর্ষণ করে। বাকিরা ভিডিও করে। এক ছাত্র তরুণীর ২০০০টাকা ছিনতাই করে বলেও অভিযোগ। একইসাথে মুখ খুললে ওই ভিডিও ভাইরাল করারও হুমকি দেয় যুবকের দল।
কোথায় ছিল নিরাপত্তারক্ষীরা?
তরুণীর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর বন্ধুর সাথে কথা বলছিলেন, সেইসময়েই নাকি অভিযুক্তরা তাঁকে জোর করে হোস্টেলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, ঘটনার সময়ে গেটে দেখা যায়নি কোনো নিরাপত্তারক্ষীকে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ঝাঁসি পলিটেকনিক কলেজের প্রিন্সিপাল নবীন কুমার জানান, "অভিযুক্তরা সকলেই হোস্টেলের ছাত্র কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলেজ চত্বরে একজন নিরাপত্তারক্ষী আছেন, তবে ঘটনার সময় তিনি পরীক্ষার স্থানে ব্যস্ত ছিলেন।" যদিও ইতিমধ্যেই সিপ্রি থানার পুলিশ আট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে তরুণী
ঝাঁসির এসএসপি দীনেশ কুমার পি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা কিছু পুলিশকর্মী তরুণীর কান্না শুনে তাঁকে থানায় নিয়ে আসেন। তরুণীর বক্তব্য শুনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিনি ভরত নামক একজনকে চিহ্নিতও করেছেন।" সূত্র বলছে, পুলিশের তরফে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(ঘ) (দলগত ধর্ষণের অভিযোগ), ৩৯৫ (ডাকাতি), ৩৮৬ (বলপূর্বক জুলুম), ৩২৩ (আঘাত হানা) এবং ১২০(খ) (দুষ্কর্মের ষড়যন্ত্র) ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬(ঘ) ও পকসো আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
কলেজের তরফে সহযোগিতার আশ্বাস
এদিকে যোগীরাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ যেখানে প্রবল, সেখানেই ঝাঁসির পুলিশদের তৎপরতা প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন রোহিত সাইনি, ভরত কুশওয়াহা, সঞ্জয় কুশওয়াহা, শৈলেন্দ্র নাথ পাঠক, মায়াঙ্ক শিভারে, ভিপিন তিওয়ারি, মনু পারয়া এবং ধর্মেন্দ্র সেন । কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এরা সকলেই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজের তরফে পুলিশকে সকল রকমের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আশঙ্কা বাড়ল দেশবাসীর, করোনা ভ্যাকসিন ভারতে আগামী মার্চের আগে নয়