পঙ্গপাল মারতে সীমান্তবর্তী জেলাকে দেওয়া হবে পাঁচ লক্ষ টাকা, ঘোষণা উত্তরপ্রদেশ সরকারের
পঙ্গপাল মারতে সীমান্তবর্তী জেলাকে দেওয়া হবে পাঁচ লক্ষ টাকা, ঘোষণা উত্তরপ্রদেশ সরকারের
একে তো করোনা ভাইরাস, তার ওপর পঙ্গপালের হামলা, দুঃশ্চিন্তায় ঘুম ছুটেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের। পঙ্গপালের হামলা সামাল দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এই পতঙ্গকে রাসায়নিক দিয়ে মারার জন্য প্রত্যেক সীমান্তবর্তী জেলাকে পাঁচ লক্ষ করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
পঙ্গপাল নিধনে প্রত্যেক সীমান্তবর্তী জেলাকে আর্থিক সহায়তা
রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী সূর্য প্রতাপ শাহী মঙ্গলবার বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করবে যাতে তারা রাসায়নিক স্প্রে করে পঙ্গপালদের নিধন করতে পারে। এছাড়াও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে প্রধান উন্নয়ন কর্মকর্তার অধীনে প্রতিটি জেলায় একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে।' তিনি জানান, একটি কেন্দ্রীয় দল পঙ্গপালের ঝাঁককে অনুসরণ করছে এবং তাদের উপর রাসায়নিক স্প্রে করছে, ফলে পতঙ্গ নিধনে সহযোগিতা বেড়েছে।
পঙ্গপাল ক্ষতি করেছে ঝাঁসির
মন্ত্রী বলেন, ‘ঝাঁসির কিছু অংশে ক্ষতির রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, সেখানে পঙ্গপাল কুমড়ো চাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্যান্য জায়গাগুলি থেকে খরিফের ফসল না থাকায় শস্যের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। খুব কম কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে (পঙ্গপাল দ্বারা)।' মন্ত্রী দাবি করেছেন যে যদি পঙ্গপালের ঝাঁক পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দিকে যায় তবে তারা প্রচুর আখের ফসল নষ্ট করবে। একইভাবে যদি তারা লখনউ পৌঁছায় তবে আম বাগানের ব্যাপক ক্ষতি করবে।
মাহাবো জেলা প্রশাসন লক্ষাধিক পঙ্গপাল মেরেছে
সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, মাহাবো জেলা প্রশাসন রবিবার আধ কিলোমিটার ছড়িয়ে থাকা পঙ্গপালের ঝাঁকের ওপর রাসায়নিক স্প্রে করেছিল, লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল তাতে মারা যায়। বান্দা জেলায় হামলা করার পর রবিবার সন্ধ্যায় পঙ্গপালেরা মাহাবোয় হামলা করেছিল। জেলা কৃষি কর্মকর্তা বীর প্রতাপ সিং সোমবার জানিয়েছিলেন, কৃষিক্ষেত্রে মাত্র দশ শতাংশ জমিতে শাক-সবজি ছিল, তাই তারা গাছের উপর বসতি স্থাপন করেছিল।
খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম
রাজ্য সরকার এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য স্তরের দল গঠন করা হয়েছে। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, জেলা থেকে পঙ্গপালের খবর যাতে আসে তার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে যে ড্রাম, কেনেস্তারা, টিন ও ধাতব থালা বাজিয়ে শব্দ তৈরি করতে যাতে পঙ্গপাল পালিয়ে যায়। কর্মকর্তারা আরও জানান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কীটপতঙ্গ পরিচালন কেন্দ্রের সহায়তা নেওয়ার নির্দেশও জারি করা হয়েছে।
মুকুল 'কাজ’ করতে পারছেন না দিলীপের নেতৃত্বে! একুশের আগে বিজেপিতে নয়া সঙ্কট