নদীতে ভেসে আসা পচাগলা মৃতদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর, বিভীষিকায় গ্রামের পর গ্রাম, সতর্ক বাংলা
গঙ্গা দূষণ রোধে কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছর লকডাউনের সময় উত্তরাখণ্ডের গঙ্গার জলের স্বচ্ছ্বতা নিয়েও বহু মিডিয়া রিপোর্ট উঠে আসে। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় স্রোতে মর্মান্তিক পরিস্থিতি দেখেছে দেশ। গঙ্গার জলে শ'য়ে শ'য়ে ভেসে আসতে দেখা গিয়েছে মৃতদেহ। যা ঘিরে আতঙ্ক অব্যাহত নদী তীরবর্তী এলাকায়।
অব্যাহত আতঙ্ক
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর, বিহারের বক্সারের পর এবার ফের যোগী রাজ্যের উন্নাওতে গঙ্গার তীরে ভেসে আসতে দেখা যাচ্ছে পর পর মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে এগুলিকে নদীতে ভেসে আসা লাশ বলে জানা গেল, পরে জানা যায়, এলাকার তীবরবর্তী জায়গায় বালিতে পোঁতা হয়েছে এই সমস্ত দেহকে। এই নারকীয় ঘটনার সাক্ষী হতেই উত্তরপ্রদেশের বুকসার গ্রামে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে গঙ্গার জলের শুদ্ধতা নিয়ে চিন্তায় এলাকাবাসী। এই জল ব্যবহার করা কতটা উচিত, তা নিয়েও রয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন।
কোথা থেকে এবং কেন আসছে এই লাশ?
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বুকে উন্নাওয়ের বুসকার গ্রামে যে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তার বহু অংশই পচা গলা। বহু জায়গায় দেখা যাচ্ছে মৃতদেহ কার্যত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই থেকে ধারণা যে, সম্ভবত দেহগুলি আশপাশের কোনও জায়গায় সৎকার করা হয়েছে। অথবা গঙ্গায় দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কুকুর ছিঁড়ে খাচ্ছে দেহ!
উন্নাওয়ের সাম্প্রতিক ঘটনায় কার্যত করুণ ছবি উঠে আসছে উত্তরপ্রদেশের বুক থেকে। দেখা যাচ্ছে সেখানে কুকুর ছিঁড়ে খেতে শুরু করে দিয়েছে এই মৃতদেহগুলি। এই অবস্থায় প্রশাসন তৎপরতা নিয়ে সেই দেহ সৎকার করছে।
সতর্ক বাংলা
এদিকে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বুকে এমন পরিস্থিতির জেরে মালদা ও মুর্শিদাবাদে মৃতদেহ ভেসে আসার আশঙ্কা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে নবান্নের কড়া নির্দেশের পর জেলাগুলিকে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। মমতা প্রশাসনের আশঙ্কা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলার গঙ্গায় এই মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে। ফলে আপাতত অ্যালার্টে রয়েছে প্রশাসন।