হাথরাস কাণ্ডে ক্রমেই চড়ছে পারদ উত্তরপ্রদেশে, চাপে পড়ে মুখ খুললেন যোগী আদিত্যনাথ
হাথরাস কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাজে অসন্তুষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ। এই আবহে এদিন ছয় জন আইএএস অফিসারকে বদলি করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। আর এবার মানুষের রোষ কমাতে মুখ খুললেন স্বয়ং যোগী।
উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি
হাথরাস কাণ্ডের পর একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক তরজা বর্তমানে তুঙ্গে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গ্রেফতার হন গতকাল। এরপর এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গেও হাতাহাতি হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। এই আবহে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি।
কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ?
এই পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে এবার উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এদিন টুইটারে লেখেন, 'উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের সমস্ত মহিলা, মা এবং বোনদেরকে সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। এটা আমাদের অঙ্গিকার রাজ্যবাসীর প্রতি।'
পুলিশের বক্তব্য
এর আগে পুলিশের এডিজি প্রশান্ত কুমার বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। হাথরাসের ঘটনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে এটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে কীভাবে পুরোপুরি ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে উত্তেজনা তৈরির ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। জাতিতে জাতিতে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। যারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে গৌতম বুদ্ধ নগরের ইকোটেক ওয়ান পুলিশ স্টেশনে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকা ১৫০ জন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরও নাম রয়েছে। এর আগে গতকাল হাথরাস যাওয়ার পথে বারবার তাঁদের কনভয় আটকানো হয়েছিল। পরে হেঁটেই সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে আটক করা হয় রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ অন্য কংগ্রেস নেতাদের। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।