মুজাফ্ফরনগর রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এল এই তথ্য
উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগরে রেলদুর্ঘটনার কারণ হিসাবে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগরে রেলদুর্ঘটনার কারণ হিসাবে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, রেল লাইনে মেরামতির কাজ যে চলছে, সেসম্পর্কে অবহিতই ছিলেন না ট্রেনটির চালক। যার ফলে এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয় ২৩ জনকে।
[আরও পড়ুন:মুজাফ্ফরনগর রেল দুর্ঘটনার জেরে ঘুরিয়ে দেওয়া হল এই সমস্ত ট্রেনকে]
জানা গিয়ছে , ট্রেনের চালককে জানানোই হয়নি রেল লাইনে মেরামতির বিষয়টি। প্রাথমিত তদন্তে এমনই তথ্য উঠে আসছে বলে খবর। জুন ছেকে শুরু হয় এই লাইন মেরামতির কাজ। তা শেষ হওয়ার কথা ছিল দুলাইয়ে, কিন্তু কেন এই কাজ জুলাই মাসের মধ্য শেষ হয়নি তা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রায় ১৫ মিটার রেল লাইন সেখানে ছিলনা। যার ফলে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। দূর থেকে ট্রেন আসছে দেখে রেল লাইনের সারাইয়ের কাজে কর্মরত শ্রমিকরাও ছুটে পালিয়ে যান। ঘটনার পর রেল লাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে মরামতির যন্ত্রাংশ, যা প্রমাণ করে, ঘটনার ঠিক আগেই সেখানে মেরামতির কাজ চলছিল। বিজেপি-র বিরোধী শিবির কার্যত এই গোটা ঘটনাকে 'ম্যানমেড' আখ্যা দিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, খাটউলি স্টেশনের কর্মীরাও রেলের এই লাইন মেরামতির বিষয়ে অবহিত ছিলেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যে ৬টার পর উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর পার হয়ে খাটাউলির কাছে এই ঘটনা ঘটে। লাইনচ্যুত হয় পুরী থেকে হরিদ্বারমুখী ১৮৪৭৭ কলিঙ্গ-উৎকল এক্সপ্রেস। ট্রেনটির ১৪টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে খবর। এর জেরে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতর সংখ্যা ৬৪। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।