মন্তব্য করার সময় মন নয়, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করো, রাহুল মন্তব্যে বরুণকে উপদেশ মা মানেকার
রাহুলের কাকিমার কথায়, আমেঠীতে গত ৪৫ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরুণ যা বলেছে তা ঠিক নয়। আমি বরুণকে বলেছি নিজের চোখে না দেখে কোনও কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। বরুণ যা বলেছে আসলে তার কোনও ভিত্তিই নেই। আমি নিজে আমেঠী গিয়েছ। সেখানে কোনও উন্নয়নই চোখে পড়েনি। কেউ হয়ত বরুণকে বলেছে যে আমেঠীতে ভাল কাজ হয়েছে। তাই ও বলেছে।
একইসঙ্গে ছেলের নির্বুদ্ধিতা চাপা দিতে মানেকা গান্ধী বলেন, বরুণের মন পরিস্কার। ও শিশুসুলভ। তাই অন্য লোকের কথাতেই বিশ্বাস করে ওই মন্তব্য করেছে। মানেকা জানান তিনি ছেলেকে পরামর্শ দিয়েছেন কোনও মন্তব্য করার সময় বিষয়টি মন দিয়ে নয়, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে দেখা উচিত।
আমেঠীতে গত ৪৫ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরুণ যা বলেছে তা ঠিক নয় : মানেকা
মঙ্গলবার দাদা রাহুল গান্ধীর ঢালাও গুনগান করেছিলেন বরুণ। রাহুলের লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন খুড়তুতো ভাই। সুলতানপুরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি বলেন, আমেঠীতে রাহুল যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তার প্রতিলিপি গড়ে তুলতে হবে সুলতানপুরে।
বরুণের মন্তব্যে খুশি হয়েছিলেন রাহুলও। কোনও বাড়তি উৎসাহ না দেখিয়েই বুধবার চটজলদি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, বরুণ যা বলেছে ঠিকই বলেছে। আমেঠিতে যে কাজ হয়েছে তা নিয়ে বাকিরা প্রশংসা করায় আমি খুশি।
এদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী যদিও এর পরেই দলের অভ্যন্তরেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বরুণ গান্ধীকে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যোগ্য যুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বরুণের উপর। এরপরেই নিজের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে এসে বরুণ বলেন, মন্তব্যকে কোনও দল বা প্রার্থীর প্রচার হিসাবে যেনও দেখা না হয়।
এর পরেই মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে নিজের বক্তব্যের সম্পর্কে যুক্তি দিয়ে বরুণ বলেন, গতকাল রাতে শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে আমার একটি সমাবেশ ছিল। সেখানে আমায় প্রশ্ন করা হয়েছিল আমেঠীতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেবিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল কি না। যদিও আমি সচক্ষে আমেঠীর অবস্থা দেখিনি তবু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তরফে জানতে পেরেছি উন্নয়নের কাজ ভালই হয়েছে এলাকায়। আর সেই উদাহরণ এনে আমি মানুষের ক্ষমতায়ণের জন্য স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তায় জোর দিয়েছিলাম।
যদিও এই যুক্তিতে চিঁড়ে ভেজেনি। মা মানেকা গান্ধীরই বকুনি শুনতে হয় বরুণ। মানেকা বরুণকে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুলের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক হলেও ও যে বিরোধী শিবিরের তা ভুললে চলবে না বরুণের।