মোদীর যুদ্ধ-মন্তব্যের প্রশংসা, পাকিস্তানের এফ-১৬ নিয়ে জয়শঙ্করকে খারিজ ব্লিঙ্কেনের
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সামনে যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের প্রশংসা করলেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সামনে যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের প্রশংসা করলেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। একইসঙ্গে তিনি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ বিক্রির বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। আর আমেরিকার স্টেট সেক্রেটারির সামনে তেলের দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর।
মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তেলের দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা মাথাপিছু ২ হাজার ডলার অর্থনীতি। তেলের দাম আমাদের ঘাড় ভেঙে নেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন।
জয়শঙ্কর বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে তাদের শক্তির চাহিদাগুলি কীভাবে মোকাবিলা করা হয়, তা নিয়েও গভীর উদ্বেগ রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সংঘাতের পথ থেকে ফিরে আসা আবশ্যক। আলোচনা ও কূটনীতিতে ফিরে আসাই সর্বোত্তম পথ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামনে যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। জয়শঙ্কর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও প্রশংসা করেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ বিমান বিক্রির বিষয়টিও তুলে ধরেন, যা জয়শঙ্কর একদিন আগে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি এফ ১৬-এর জন্য একটি আদর্শ প্রোগ্রাম, যা পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। তারা তা বজায় রেখে দিয়েছে। আমরা যা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি, তার প্রতি আমাদের দায়িত্ব এবং বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভারতের প্রতিও রয়েছে। কেননা দু-দেশই আমাদের অংশীদার।
জয়শঙ্কর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারত যে দৃঢ় সহযোগিতা পেয়েছে তার প্রশংসা করেছেন। বিশেষত ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকাভুক্ত করা নিয়ে তাঁরা সহমত হয়েছেন। জয়শঙ্কর বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে আমরা যে দৃঢ় সহযোগিতা পেয়েছি, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্থিতিস্থাপক এবং শক্তিশালী সরবরাহ শৃঙ্খলকে উৎসাহিত করার দৃঢ় আগ্রহ রয়েছে। এর জন্য নীতিগত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়গুলিকে জড়িত ব্যবহারিক পদক্ষেপের প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়ে মনোনিবেশ করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য খুব উন্মুক্ত। তিনি আরও বলেন, চাপগুলিকে কাটিয়ে উঠতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে তাদের শক্তির চাহিদাগুলি কীভাবে সমাধান করা হয় বা না হয়, তা নিয়ে একটি গভীর উদ্বেগ রয়েছে।