পাঠানকোট হামলা চালিয়েছে পাক জঙ্গিরাই, এবার প্রমাণ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও
নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই : পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এই বছরের শুরুতেই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গিরা। প্রথম থেকেই এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ পাক সরকারে হাতে দিয়ে আসছে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার সরাসরি তা নাকচ করে চলেছে। [পাঠানকোট হামলা : এই প্রমাণগুলি বলছে হামলাকারীরা পাকিস্তানিই]
ভারতের দাবি যে কতটা সঠিক তার প্রমাণ ফের মিলল। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পাঠানকোট জঙ্গি হামলা নিয়ে ১ হাজার পাতার প্রমাণ তুলে দিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইয়ের হাতে। সেখানে বলা রয়েছে কীভাবে পাঠানকোটে হামলার হ্যান্ডলার কাশিফ জান হামলাকারী চার পাক জঙ্গির সঙ্গে কথোপকথন চালিয়েছিল। [পাঠানকোট হামলায় জড়িত জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে ২০১০ সালে কংগ্রেস আমলে!]
মার্কিন সরকার যে তথ্য-প্রমাণ তুলে দিয়েছে তাতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, পাঠানকোট হামলাকে কীভাবে পাকিস্তানে বসে পরিচালনা করা হয়েছে। জঈশ-ই-মহম্মদের সেই চার ফিঁদায়ে হামলাকারীর নামও জানানো হয়েছে। এরা হল নাসির হুসেন যে পাঞ্জাবের বাসিন্দা (পাকিস্তানে অবস্থিত পাঞ্জাব প্রদেশ)। আবু বকর গুজরানওয়ালার বাসিন্দা, উমর ফারুক ও আবদুল কায়ুম সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা। [২২ বছর আগে সাংবাদিক সেজে ভারতে আসে জঈশ জঙ্গি প্রধান মাসুদ আজহার]
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার পরে এরা নিয়মিতভাবে পাকিস্তানে বসে থাক হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল বলে মার্কিন রিপোর্ট জানাচ্ছে। কাশিফ জানের সঙ্গে পাকিস্তানে বসে থাকা অন্য জঈশ জঙ্গিদের কী কথা হয়েছে সেটাও জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে। [এই দেশে স্মার্টফোনের চেয়েও সস্তা একে ৪৭, কালাশনিকভ রাইফেল!]
কাশিফ জান ফেসবুক ব্যবহার করছিল। সেই ফোন নম্বরেই পাঠানকোটে আসা জঙ্গিরা ফোন করে। সেই নম্বর পাকিস্তানেরই বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জেহাদি বক্তব্য, ভিডিওতে ভরা। পাকিস্তানের জঈশ জঙ্গিদের গ্রেফতারির বিরুদ্ধেও ওই অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এবার ফের তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতের তরফেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই ভারত-মার্কিন 'মুলাট' চুক্তি (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিন্ট্যান্স ট্রিটি) অনুযায়ী সাহায্য করা হয়েছে।