কূটনীতির প্যাঁচে আটকে চিন, বেজিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লি-ওয়াশিংটন জোট নিয়ে বিশেষ বার্তা আমেরিকার
ভারত সফরে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট স্টিফেন বিহান। এবং ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের বেজিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লি-ওয়াশিংটন জোটের বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি স্পষ্ট ভাবেই বলেন যে, চিন কী ভাববে? আমেরিকা এতদিন এটা ভেবেই দিল্লির সঙ্গে জোট গড়ার লক্ষ্যে খুব সাবধানে পা ফেলছিল।
আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি
এদিন ভারত-মার্কিন ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্টিফেন বলেন, 'এখন অবশ্য আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি। বর্তমানে ঘরে একটি বড় হাতি এসে পড়েছে, সেটি হল চিন। এর আগে গত সপ্তাহে সেক্রেটারি পম্পেও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ছাড়াও, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে সক্ষাৎ করেন। সেই বৈঠকের পরই আমি অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদ অশোক কণ্ঠের বক্তব্য শুনি।'
এর আগে আমরা খুব সাবধানে পা ফেলেছি
অশোকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন স্টিফেন বলেন, 'আমি অশোকের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। আমরা খুব সাবধানে পা ফেলেছি এর আগে। এই বিষয়ে অশোক যেটা বলেছেন তা একদম ঠিক। তবে গত সপ্তাহের কোয়াডভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর আমেরিকা আত্মবিশ্বাসী। এখন আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি। আমরা কৌশলগত ভাবে ঠিক রাস্তায় রয়েছি।'
কোয়াড-এর বৈঠকে পম্পেও
এর আগে কোয়াড-এর বৈঠকের পর পম্পেও বেলছিলেন, 'টোকিওতে বিশ্বের চার শক্তিশালী গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী দেশের বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। সেখানে আমিও ছিলাম। এই চারটি দেশই চিনের আগ্রাসী মনোভাবের জেরে প্রভাবিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে চিনকে রুখতে ভারতের আমেরিকাকে প্রয়োজন হবে।'
কূটনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে চিন
এদিকে দিল্লিতে আসছেন মাইক পম্পেও। মাইক পম্পেয়র সঙ্গে আসছেন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারও। দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন এসপার। এই বৈঠকে যে লাদাখ মূল আলোচ্য বিষয় হবে, তা বলাই বাহুল্য। এদিকে শীত এগিয়ে আসতে চলেছে কিন্তু এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। চিন কিছুতেই এলএসি মানতে চাইছে না বলে দাবি করেছে ভারতের। এর জেরে লাদাখ নিযে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের আরও অবনতি হচ্ছে। তবে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি যেভাবে একসঙ্গে চিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তাতে চিন কূটনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন, সন্দেহের চাদর জড়িয়ে জেডিইউ! ফের চিড় এনডিএ-তে?