অসমের এনআরসি নিয়ে এবার বিরোধিতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে! মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করার হাতিয়ার বলে উল্লেখ
অসমের এনআরসি নিয়ে এবার বিরোধিতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত একটি মার্কিন ফেডারেল কমিশনের অভিযোগ, অসমের এনআরসি করা হয়েছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে। এটা মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করে তোলার একটি হাতিয়ার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

অসমের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে উনিশলক্ষ বাসিন্দার নাম বাদ পড়েছে। যা দেখে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত একটি মার্কিন ফেডারেল কমিশনের অভিযোগ, মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করে তোলার সম্ভাব্য উদ্যোগ। এই সংস্থা ছাড়াও বেশ কিছু দেশি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
১৯৮৫-র অসম চুক্তিকে সামনে রেখে( যেখানে বলা হয়েছিল ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের আগে যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁরাই নাগরিকত্ব পাবেন) ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে অসমে এনআরসির কাজ শুরু করা হয়েছিল। এবছরের ৩১ অগাস্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। যেখানে ১৯ লক্ষ বাসিন্দার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ছয় শতাংশ। যদিও এই বাদ যাওয়াদের মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু এবং ৫ লক্ষ মুসলিম।
ইউএসসিআইআরএফ অভিযোগ করেছে, অগাস্টে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর মনে হচ্ছে, বিজেপি সরকারের পদক্ষেপ মুসলিম বিরোধীদের পক্ষপাতিত্বকে প্রতিফলিত করছে।
বিংশশতকে অসমে অনুপ্রবেশ চলেছে। যার বেশিরভাগই হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।