আর কয়েক বছরের মধ্যেই ডুবে যাবে কলকাতা, মুম্বইয়ের মতো শহর, সতর্কবাণী আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের
আর কয়েক বছরের অপেক্ষা। তারপরই সমুদ্র গ্রাস করবে কলকাতা-মুম্বইয়ের মতো ভারতের একাধিক উপকূলবর্তী বড় শহরকে। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। মার্কিন পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি সংগঠন। ২০৫০ সালের মধ্যে এই চরম পরিস্থিতি তৈরি হবে ভারতে।

সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাবে কলকাতা
ভারতের উপকূলবর্তী শহরগুলির বিপদ বাড়ছে। কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, গুজরাটের একাধিক শহরের উপর বিপদ ঘনাচ্ছে। সমুদ্র ধীরে ধীরে গ্রাস করতে শুরু করেছে শহরগুলিকে। সাম্প্রতিক বর্ষার চিত্রই সেই বিপদ সঙ্কেত দিয়েছে। এবছরের বর্ষায় চরম সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মুম্বই ও গুজরাটে। কলকাতার পরিস্থিতিও সন্তোষজনক ছিল না। সমুদ্রের জলস্তর যে গতিতে বাড়ছে তাতে খুব শ্রীঘ্রই সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাবে কলকাতা মুম্বইয়ের মত উপকূলবর্তী শহরগুলি।

বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর
সম্প্রতি নাসার উপগ্রহ মারফত গ্রিন ল্যান্ডের যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রিন ল্যান্ডের বড় একাধিক হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। মাত্র এক মাসের গরমেই গলে গিয়েছে গ্রিন ল্যান্ডের একটি বড় হিমবাহ। উষ্ণায়নের প্রভাব যে বাড়ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

তাপ বাড়ছে পৃিথবীর
উষ্ণায়ন যে গতিতে বাড়ছে তােত পৃথিবীর একাধিক দেশের পরিবেশ বদলাতে শুরু করেছে। এবছর গ্রীষ্মে ইউরোপ- আমেরিকা সহ একাধিক মহাদেশে যে পরিমান গরম পড়েছিল তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ইউরোপের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। যা এর আগে কখনও ঘটেনি। তার উপরে বর্ষা। সেটার দাপটও হয়েছে ভয়ঙ্কর রকমের।
রীতিমত প্রহর গুণছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমার তার অন্যতম বিপদ সঙ্কেত বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর যে পর্যায়ে পৌঁছবে তাতে ভারত ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ এবং চিন। প্রায় ৪২ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।