সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের পাশে আমেরিকা, চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে ২০১৮ সাল থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে কূটনীতিকরা
সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের পাশে আমেরিকা, চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে ২০১৮ সাল থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে কূটনীতিকরা
দিন যত গড়িয়েছে লাদাখে ততই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে চিনকে। গত বছর ১৫ জুন গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার লড়াইয়ে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক বারংবার উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এমনকী কূটনৈতিক বা সামরিক পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরেও আজও মেলেনি কোনও রফাসূত্র। এদিকে আমেরিকার নির্বাচনের প্রাক্কালেই চিনের আগ্রাসন নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। এমতাবস্থায় সদ্য প্রকাশিত একটি মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা নথি সামনে আসতেই ফের সামনে এল আমেরিকার ভারত দরদের কথা।
২০১৮ সাল থেকে চিনের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে আমেরিকা
এদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন লাদাখ সংঘর্ষের প্রায় দু-বছর আগে থেকেই চিনকে বাগে আনতে ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছিল আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে একগুচ্ছ কৌশলও নিতে দেখা গিয়েছিল আমেরিকাকে। যার মধ্যমে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে ভারতে সহায়তা রাস্তা আরও খানিকটা প্রশস্ত করে হোয়াইট হাউস।
২০১৮ সালের মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা নথি ঘিরে চাঞ্চল্য
সম্প্রতি ২০১৮ সালের একটি গোপনীয় মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা নথি সামনে এসেছে। যাতে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে ঘায়েল করতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন মার্কিন কূটনীতিকেরা। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে ন্যাশান্যাল সিকিউরিটি কাউন্সিল মারফত এই সমস্ত কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন ট্রাম্প। যা এতদিন যথেষ্ঠ গোপনীয়তার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে রাখা ছিল।
বুধবারই সরাকরি ভাবে প্রকাশিত হতে চলেছে এই গোপনীয় নথি
বর্তমানে কূটনৈতিক কারণে গত সপ্তাহে তা জনসমক্ষে এসে পড়ে বলে জানা যায়। বুধবার তা সরকারি ভাবে প্রকাশ পাবে বলেও খবর। ওই নথিতেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সাল থেকেই কূটনৈতিক, সামরিক এবং গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর সর্বতোভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকা। চিনের সঙ্গে ডোকালাম পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একাধিক সীমান্ত সংঘাত মোকাবিলাতেও ভারতের পাশে সর্বত ভাবে থাকার চেষ্টা চালায় ট্রাম্প সরকার।
কী বলছে বেজিং ?
প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, মিসাইল থেকে শুরু করে ড্রোন, একাধিক সমরাস্ত্র প্রদান করে গত কয়েক বছরে ভারতের সামরিক শক্তি অনেকটাই বাড়িয়েছে চিন। অন্যদিকে তিব্বত ইস্যুতেও চিনের বিরুদ্ধে একাধিকবার আওয়াজ উঠেছে হোয়াইট হাউসে। যার জেরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আগের থেকে অনেকটাই কোণঠাসা হয়েছে চিন। এমনকী জুনের লাদাখ সংঘর্ষের পরও ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। এমতাবস্থায় হোয়াইট হাউসের গোপন নথি সামনে এসে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি বেজিংকে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেও নিস্ক্রিয়! খোদ সভাপতির কাছেই জবাব চাইলেন প্রাক্তনমন্ত্রী