মোদী বয়কট নিয়ে অবস্থান বদলানোর ইঙ্গিত আমেরিকার, বৈঠকে ইচ্ছুক পাওয়েল
ছাড়পত্র মিলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই মোদী-পওয়েল বৈঠক হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১৪ বা ১৫ ফেব্রুয়ারি নাগাদ গান্ধীনগরে গিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন পওয়েল। মোদী-পওয়েল বৈঠক সব দিক থেকেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
২০০৫ সালে আমেরিকা মোদীর ভিসা নাকচ করে, ৯ বছর সেই অবস্থানেই অনড় আমেরিকা
২০০৫ সালে আমেরিকা মোদীর ভিসা নাকচ করে। শুধু তাই নয়, এর পর থেকে বার বারই মোদীকে ভিসা না দেওয়ার অবস্থানেই অনড় থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনি মোদী বয়কটের ৯ বছর কেটে গিয়েছে। আমেরিকা যাতে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করে দেখে তার জন্য অনেক আবেদন জমা পড়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদী নিজে কখনও এবিষয়ে আমেরিকার দ্বারস্থ হননি। বা ভিসা রদ করায় কখনও তার বক্তব্যে মার্কিনি বিদ্বেশ শোনা যায়নি। বা এ প্রসঙ্গে কখনও মার্কিন ষুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুর চড়া করেননি মোদী।
এদিকে ব্যবসার দিক থেকে দেখলে জাপান মোদীর বিরুদ্ধে এমন কোনও অবস্থান না নেওয়ায়, গুজরাতে বিনিয়োগ ভাল। ভাল ব্যবসাও করছিল মোদীতে আস্থা রাখা বিদেশিরা। মোদীকে বয়কট করার ফলে আমেরিকা সেই সুযোগও পাচ্ছিল না।
ভারতের হাওয়ায় এখন পরিবর্তন স্পষ্ট। বর্তমান পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে। এমনতাবস্থায় তবে কী আমেরিকা মোদীকে এড়াতে গিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনাতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে তারা। এ প্রশ্নও সঙ্গীন হয়ে উঠেছিল। এইসব দিকগুলি বিচার করে লোকসভা ভোটের আগেই মোদীর সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে চাইছে আমেরিকা।
সম্প্রতি মোদীর জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য একশোটা দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সৌজন্যের খাতিরে পাওয়েলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিজেপি নেতৃত্বও চাইছে মোদী-মার্কিন সম্পর্কের বরফ গলে যাক। মোদী-পওয়েল বৈঠক হোক ইতিবাচক।