উরি হামলার জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসেই হামলা চালিয়েছে, এই তার প্রমাণ!
জম্মু, ১৯ সেপ্টেম্বর : উরির সেনা ক্যাম্পে দ্বাদশ ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টারে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পুরো ছকটাই কষা হয়েছিল পাকিস্তানে। অস্ত্রশস্ত্র, গ্রেনেড ও গোলা-বারুদ সঙ্গে নিয়ে এসে একেবারে পরিকল্পনা করে নিরস্ত্র জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। [উরি হামলায় মৃত বেড়ে ২০, পাক সীমান্ত পেরিয়ে হামলার ভাবনা ভারতীয় সেনার]
জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি মানচিত্র ও নকশা উদ্ধার হয়েছে। তা দেখে স্পষ্ট, একেবারে ছক করে নিরস্ত্র জওয়ানদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে। তারপরে ব্রিগেড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লক উড়িয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। এছাড়া নকশায় লেখা ছিল পাখতুন ভাষায়, যা একমাত্র পাকিস্তানেই শোনা যায়। এবং অস্ত্রে পাকিস্তানি লেবেল ছিল।
জঙ্গিদের থেকে প্রাপ্ত মানচিত্র ও নকশা যাচাই করে সেনা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই জঙ্গিরা নিষিদ্ধ সংগঠন 'সিপাহী-সাহাবা পাকিস্তান' গোষ্ঠীভুক্ত। এরা খুব সম্প্রতি জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর অধীনে কাজ শুরু করেছিল। মাসুদ আজহারই এদের নেতা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
পাকিস্তানের দেওবন্দের এই সংগঠনটি সুন্নি মুসলমানদের গোষ্ঠী। এদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে তালিবানরাও। পরে মাসুদ আজহারও জনসমক্ষে এদের প্রশংসা করার পরে এদের দলে টেনে নিয়ে ভারতে হামলার কাজে ব্যবহার করল বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনিক ব্লকে যখন জওয়ানরা ডিজেলের ট্যাঙ্ক থেকে তেল ভরছিল, সেইসময়ে আক্রমণ করা হয়। তিন মিনিটে মোট ১৭টি গ্রেনেড হামলা করা হয়। যার ফলে ১৫০ মিটার জায়গা জুড়ে আগুন লেগে যায়। তাতে পুড়ে মারা যান ১৩ জন সৈন্য। এছাড়া মোট ৩২ জন জওয়ান আহত হয়েছেন যার মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডিজেলের ব্যারেলগুলি বিস্ফোরণ হওয়ায় জঙ্গিরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এবং সোজা গিয়ে সেনা ব্যারাকে হামলা চালায়। ব্যারাকে তখন কোনও সেনা ছিল না। দ্বিতল বাড়িতে লুকিয়ে পড়ে জঙ্গিরা। পড়ে বাড়িটি উড়িয়ে দিয়ে তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়। তার আগে সেনার গুলিতে এক জঙ্গির প্রাণ যায়।