ভারত-পাক সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের রমরমা ব্যবসা চলছে, ফাঁস গোয়েন্দা জেরায়
নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর : উরি হামলার পরে ভারত-পাকিস্তান দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বৈরিতার এই আবহে ফের একবার যুদ্ধের হানছানি দিচ্ছে বারেবারে। তবে দায়িত্বশীল দেশ হিসাবে ভারত যতবার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে, পাকিস্তান ততবারই সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলেছে। [টাওয়ার ছাড়াই মোবাইলে যোগাযোগের নয়া উপায় বাতলেছে পাক জঙ্গিরা!]
উরির সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর খবর এসেছিল, পাক সেনার সাহায্যেই সীমান্ত পেরিয়ে হামলাকারীরা ভারতে এসে সেনার উপরে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এই হামলাকারীদের সাহায্য করার দায়ে দুই যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার গোয়েন্দারা। [কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি দলে নাম লেখাচ্ছে কারা? জেনে নিন]
এনআইএ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম ফয়জল হুসেন আওয়ান (২০) ও এহসান খুরশিদ (১৯)। তারা জানিয়েছে, শুধু উরির হামলাকারী জঙ্গিদেরই নয়, এর আগেও পাকিস্তান থেকে অনেককে এদেশে অবৈধভাবে ঢোকার সুযোগ করে দিয়েছে তারা। [জাপানি ওয়্যারলেস সেট নিয়ে উরিতে হামলা চালিয়েছে পাক জঙ্গিরা, প্রমাণ পেল সেনা]
মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের সচিব এস জয়শঙ্কর উরি হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার সমস্ত প্রমাণ সেদেশের সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন। ঘটনার পর গ্রামবাসীরাই দুই পাচারকারী যুবককে সেনার হাতে তুলে দেয়। তারপর জেরাতেই তারা আরও অনেককে পাচারের কথা স্বীকার করেছে। ['সিন্ধু জল চুক্তি' ব্যুমেরাং হতে পারে ভারতের কাছে!]
জেরায় তারা জানিয়েছে, যে চার জঙ্গি মারা গিয়েছিল তাদের মধ্যে একজনের নাম হাজিফ আহমেদ। তার বাড়ি পাকিস্তানের মুজফফরাবাদে। ধৃত পাচারকারী ফয়জল হুসেন ও এহসান খুরশিদও মুজফফরাবাদের বাসিন্দা বলে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে।
জঈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা এই চার জঙ্গিকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে প্রবেশ করিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। জেরায় এই দুজন জানিয়েছে, উরি হামলার পরে তারা সেখানেই ছিল। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, আরও জঙ্গিদের এপারে পাচারের উদ্দেশ্যেই এই দুই পাচারকারী উরিতে থেকে গিয়েছিল। এই পুরো বিষয়টিই তথ্যপ্রমাণ সহ পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত।