করোনা লকডাউনের ধাক্কায় শুরু কর্মী ছাঁটাই, বেকারত্ব বাড়ছে শহরাঞ্চলে
করোনা লকডাউনের ধাক্কায় শুরু কর্মী ছাঁটাই, বেকারত্ব বাড়ছে শহরাঞ্চলে
করোনা লকডাউন শিথিল করেই হাল ফেরানো যায়নি। একের পর এক সস্থায় কর্মী ছাঁটাই হয়ে চলেছে। তার কোপ পড়েছে সবচেয়ে বেশি শহরাঞ্চলে। গ্রামীণ এলাকার থেকে শহরাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি কাজ হারাচ্ছে। একাধিক সংস্থায় কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিযোগিতা চলছে। সুইগি, ওলা, উবার একের পর এক সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করে চলেছেন লকডাউনের অজুহাতে।
লকডাউন শিথিল
লকডাউন শিথিল করা হয়েছে দ্বিতীয় দফা থেকেই। স্থানীয়ভাবে একাধিক দোকান খুলেছে। একাধিক পরিষেবাও শুরু হয়েছে। তৃতীয় এবং চতুর্থ দফাল লকডাউনে আরও শিথিল হয়েছে নিয়ম। বাস চলছে। খুলে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ দোকান বাজার। কিন্তু কর্মী ছাঁটাই বন্ধ হচ্ছে না। মে মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত বেকরত্বের হার দেশে ২৪.৩ শতাংশ পৌঁছে গিয়েছে। শহরাঞ্চলে যা সর্বাধিক।
শহরে বাড়ছে বেকারত্ব
বেতারত্বের পরিসংখ্যানে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনা থাবায় থমে যাওয়ার অর্থনীতির ফল ভোগ করছে বেশি শহরাঞ্চলের মানুষ। শহরে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। তার চেয়ে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের সংখ্যা কম। পরিসংখ্যানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। শহরাঞ্চলের ২৭ শতাংশ যুবক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
কর্মী ছাঁটাই চলছে
করোনা লকডাউনে আর্থিক ক্ষতি দেখিয়ে একাধিক সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের যেন প্রতিযোগিতা। জোম্যাটো, সুইগি, ওলা, উবার সহ একাধিক সংস্থা কয়েকশো কর্মী ছাঁটাই করেছে। যার প্রভাব বেশি পড়েছে শহরাঞ্চলে। কারণ এগুলি শহরকেন্দ্রীয় পরিষেবা দিয়ে থাকে। ওলা ১,১১০০ কর্মী ছাঁটাই করোছে, সুইগি ১৪০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। অন্যদিকে জোম্যাটো ৩০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে।
করোনা থাবায় কর্মসংস্থানে সংকট
করোনা থাবায় যতজন কাজ হারিয়েছেন তার সরাসরি প্রভাব পড়বে আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে। তার উপরে মূদ্রাস্ফীতি বাড়তে শুরু করায় আরও সংকট তৈরি হবে দেশে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবস্থাও অত্যন্ত সংকটে রয়েছে। আত্মনির্ভরতার ডাক দিয়েছেন মোদী। কিন্তু সেই প্যাকেজে কতটা লাভ হবে সেটাই এখন দেখার।
বিজেপি পুরনো অস্ত্রে শান দিচ্ছে মহারাষ্ট্রেও, সংকট-সময়েও শাসন কায়েমই বাজি