বিজেপিকে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে তুলনা বর্ষীয়ান নেতার! ভোটের মুখে চাঞ্চল্য মোদীর দলে
বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি যখন মোঘল আমলে দেওয়া নাম পরিবর্তনে উদ্যোগী, ঠিক সেই সময় দলকে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে তুলনা করলেন বর্ষীয়ান এক নেতা। মধ্যপ্রদেশের ওই নেতার নাম রামকৃষ্ণ কুশমারিয়া।
বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি যখন মোঘল আমলে দেওয়া নাম পরিবর্তনে উদ্যোগী, ঠিক সেই সময় দলকে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে তুলনা করলেন বর্ষীয়ান এক নেতা। মধ্যপ্রদেশের ওই নেতার নাম রামকৃষ্ণ কুশমারিয়া। তিনি শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীও বটে। বিধানসভা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পাওয়া নিয়েই মূলত ক্ষোভ তাঁর। ওই নেতার অভিযোগ, বিজেপি বয়স্কদের শ্রদ্ধা করতে জানে না।
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার প্রশ্ন, তিনি বুঝতে পারছেন না, বয়স্ক নেতাদের মনোনয়ন দিতে দলের অসুবিধা কোথায়। তিনি মনে করেন, বিজেপি ঔরঙ্গজেবের মতো আচরণ করছে। ঔরঙ্গজেব যেমন করে নিজের বাবাকে বন্দি করে শাসন কার্য চালনা করেছিলেন, এখন তেমনই করছে বিজেপি। এইভাবেই কি বয়স্কদের সঙ্গে আচরণ করতে চায় বিজেপি, প্রশ্ন করেছেন তিনি। দলের উচিত এই ধরনের মানুষদের শ্রদ্ধা জানানো। বলেছেন ৭৬ বছরের কুশমারিয়া।
লোকসভার প্রাক্তন সদস্য কুশমারিয়া মধ্যপ্রদেশের কৃষিমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন। বুন্দেলখণ্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি।
রামকৃষ্ণ কুশমারিয়া দাবি করেছেন, মধ্যপ্রদেশের দামো কেন্দ্রের মানুষ তাঁকে চেয়েছিলেন। বিজেপির অবজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, ওই কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রাক্তন এই নেতা। তাঁর দাবি, কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ভোটের রাজনীতিতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রামকৃষ্ণ কুশমারিয়া পাঁচ বারের সাংসদ। চারবার তিনি দামো কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একবার খজুরাহো থেকেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। দামো জেলার পাথারিয়া বিধানসভা কেন্দ্রেও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।
২০১৩-র বিধানসভা নির্বাচনে চাতারপুর জেলার রাজনগর আসন থেকে বিজেপির তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী রাজ পরিবারের সদস্য কুনওয়ার বিক্রম সিং-এর কাছে পরাস্ত হন।
শুধুমাত্র রামকৃষ্ণ কুশমারিয়াই নন, একাধিক বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী, মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হোসেঙ্গাবাদ সংসদীয় আসনে চারবারের জয়ী তথা শিবরাজ সিং চৌহান মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য সরতাজ সিং বিজেপির মনোনয়ন না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁকে হোসেঙ্গাবাদ বিধানসভার আসনে মনোনয়ন দিয়েছে কংগ্রেস।
বিজেপির তরফে অবশ্য আগেই জানানো হয়েছিল, ৭৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া নেতা কিংবা নেত্রীদের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে না। যদিও সেই নিয়ম শিথিল করা হয়েছিল কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময়। ৭৫ বছর বয়সী বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন ২৮ নভেম্বর। ভোটগণনা ১১ ডিসেম্বর।