জেনে নিন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সবাইকে ছাপিয়ে গেল কোন রাজ্য়, মেয়েদের মধ্যে প্রথমই বা কে
২০১৭ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় হরিয়ানার জয়জয়কার। মেয়েদের মধ্যে প্রথম অনুকুমারী
দেশে নারী নির্যাতন যত বাড়ছে, ততই যেন নিজেদের ছাপিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর হচ্ছেন ভারতীয় নারীরা। অনেক ভারতীয়ই এখনও মনে করেন, বিবাহ, সংসার, সন্তান পালনই বোধহয় নারীর লক্ষ্য় ও মোক্ষ। এই ধারণাটাতেই আঘাত করছেন অনু কুমারীর মতো ভারতীয় নারীরা। ২০১৭ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্য়ে প্রথম হয়েছেন এবং সার্বিক তালিকায় দ্বিতীয় হরিয়ানার শোনপতের এই অনু। এছাড়াও মেধা তালিকায় হরিয়ানারই জয়জয়কার। প্রথম পাঁজজনের মধ্যে তিনজনই এই রাজ্যের।
[আরও পড়ুন: সব মহিলাই মায়ের সমান! ক্ষমা চেয়ে আর কী বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী]
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক অনু কুমারী। এরপর আইএমটি নাগপুর থেকে ফিন্যান্স অ্যান্ড মার্কেটিং-এ এমবিএ করেছেন। ৩১ বছরের অনু বিবাহিত। তাঁর চার বছরের এক সন্তানও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই ফল তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও পরিবারের সমর্থনের জন্য়ই সম্ভব হয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি প্রিথম এই পরীক্ষায় বসেছিলেন, কিন্তু সেবার অল্পের জন্য সাফল্য আসেনি। এবার আরও জোরদার প্রস্তুতিতেই বাজিমাত করেছেন।
এছাড়াও মেধা তালিকার প্রথম প্ঁাচজনের মধ্য়ে হরিয়ানা থেকে আছেন তৃতীয় স্থানাধিকারী সচিন গুপ্ত এবং পঞ্চমস্থানে থাকা প্রথম কৌশিক। সচিন, হরিয়ানা সিরসার এক ব্য়বসায়ী পরিবারের সন্তান। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার সচিনও, অনুর মতো আগের বছর পরীক্ষায় বসেছিলেন, ৫৭৫তম স্থান পেয়েছিলেন। প্রথম কৌশিক মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় রাজ্য়ের এই আশাতীত সাফল্য়ে উচ্ছসিত হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। সফল পরীক্ষার্থীদের তিনি অভিনন্দন জানান টুইটারে। অনু-র কথা আলাদা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আশা করি রাজ্য়ের মেয়েরা আপনাকে দেখে অনুপ্রেরণা পাবে"।
[আরও পড়ুন:পাঁচতারা হোটেলের বাথটবে মহিলার মৃত্যু, দানা বাধছে রহস্য]
তবে এবারের মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে জ্বলজ্বল করছে ওবিসি অনুদীপ দূরিশেট্টির নাম। তিনি বিআইটিএস, পিলানি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিই ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন রাজস্ব বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে কর্মরত। ইউপিএসসি-র সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মেরিট লিস্টে মোট ৯৯০ জনের নাম আছে। এর মধ্যে ৪৭৬ জন সাধারণ পরীক্ষার্থী, ২৭৫ জন ওবিসি, ১৬৫ জন তফশিলি জাতি এবং ৭৪ জন তফশিলি উপজাতির।