সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে এগিয়ে উচ্চবর্ণ, পিছিয়ে নেই মুসলিমরাও, বলছে রিপোর্ট
গত কয়েক বছরে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার দাবানলের মত ছড়িয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম কোনও কিছুই বাদ যাচ্ছে না। তরতরিয়ে বাড়ছে ব্যবহার।
গত কয়েক বছরে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার দাবানলের মত ছড়িয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম কোনও কিছুই বাদ যাচ্ছে না। তরতরিয়ে বাড়ছে ব্যবহার। কিছু একটা ঘটলেই হয় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে চারিদিকে। সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে তথ্য প্রযুক্তি আইন তৈরি করতে হয়েছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে। স্টাডি অব ডেভলপিং সোস্যাইটিস নামে একটি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশে সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করেন উচ্চ বর্ণের মানুষ। তার পরেই রয়েছে মুসলিমরা। এঁদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে দলিত এবং আদিবাসীরা।
উচ্চবর্ণের দাপট
সোশ্যাল মিডিয়ার উচ্চবর্ণের লোকেদের দাপট যে বেশি সেকথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই রিপোর্টে। সেকারণেই হয়তো লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই বুদ্ধি করে সরকারি চাকরি এবং প্রকল্পে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছেন। যার ফল মিলেছে ভোট বাক্সে। কারণ এই রিপোর্টে আরও একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে আবার বিজেপির সমর্থক বেশি। এখানেই দুয়ে দুয়ে মিলে যাচ্ছে ভোট বাক্সের সমীকরণ। কারণ বিজেপির আইটি সেল এবারের ভোটে যেভাবে কাজ করেছে তার মোকাবিলা করার মত ক্ষমতা কোনও রাজনৈতিক দলেরই ছিল না। এক কথায বলা চলে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে বিজেপি।
কোন মিডিয়া বেশি ব্যবহার
এই উচ্চবর্ণের লোকেরা বেশি ব্যবহার করছেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টুইটার। ইনস্টাগ্রামে আবার এঁদের আগ্রহ একটু কম। আর গুজবে গণপিটুনির ঘটনায় কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রভাব ছিল ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যােপর। সেই ভিডিও নিয়ন্ত্রণে একটা সময় পুলিসকে হিমসিম খেতে হয়েছিল। এখনও যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে এমন নয়। মুসলিমরাও কিন্তু দৌেড় পিছিয়ে নেই। তরতরিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। দলিত আর আদিবাসীদের অবস্থা একটু খারাপ। এঁরা আবার ফেসবুকেই বেশি আগ্রহী।
কারা কীভাবে ব্যবহার করছেন
সমীক্ষা বলছে উচ্চবর্ণের মধ্যে মাত্র ৫৪ শতাংশের সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। দলিতদের আবার ৭১ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরক্ত নন। আদিবাসীদের ৭৫ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখতে বেশি পছন্দ করেন। অথবা বলা ভাল সরগর নন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে যখন উচ্চবর্ণের আধিপত্য বেশি তাহলে তো খারাপ কিছু ঘটার কথা নয়। তারপরেও কী করে গুজব ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জোড়াল হচ্ছে প্রশ্ন।