আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতির তোষামোদ নয়, সাফ বার্তা সুপ্রিমকোর্টের
উচুবর্ণের কারোর বিরুদ্ধে যদি কোনও তফসিলি জাতির কেউ মামলা করে, তাহলেই কী সেই মামলার ফলাফল যেতে হবে অভিযোগকারীর পক্ষে? এহেন প্রশ্নের জবাব হিসাবে সাফ বার্তা দিয়ে দিল সুপ্রিমকোর্ট। মামলার প্রেক্ষিতে যদি কোনও উচ্চবর্ণের মানুষ অভিযুক্ত হন, তাঁরও সব রকমের আইনি সাহায্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট খারিজ
এছাড়া কোনও সাক্ষী ছাড়া বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণিভুক্ত মানুষের প্রতি অপমানসূচক মন্তব্য করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না। পাশাপাশি এদিন তফসিলি জাতি বা উপজাতি আইনের আওতায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

বাড়ির মধ্যেই কটূ কথা বলার অভিযোগ
এক মহিলাকে তাঁর বাড়ির মধ্যেই কটূ কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, 'যদি কাউকে সবার চোখের অগোচরে অসম্মান, অবমাননা এবং নিগ্রহ করা হয়, তখন তফসিলি জাতি বা উপজাতি আইনের আওতায় তা অপরাধ হিসেবে ধরা হবে।'

উত্তরাখণ্ডের ঘটনা
উত্তরাখণ্ড সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১১ ডিসেম্বর হিতেশ ভার্মা নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি বা উপজাতি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় সেই মামলা রুজু করা হয়েছিল। পরে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন হিতেশ।
