অসমে বাঙালি গণহত্যার প্রতিবাদ, বরাকে ১২ ঘণ্টার বনধ, উজান অসম-ও হবে স্তব্ধ
তিনসুকিয়ায় বাঙালি গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার ১২ ঘণ্টার বারাক বনধের ডাক দিল নাগরিক অধিকার সমন্বয় সমিতি। এই সংগঠনের ছাতার তলায় আরও বেশকিছু গণসংগঠন এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে।
তিনসুকিয়ায় বাঙালি গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার ১২ ঘণ্টার বারাক বনধের ডাক দিল নাগরিক অধিকার সমন্বয় সমিতি। এই সংগঠনের ছাতার তলায় আরও বেশকিছু গণসংগঠন এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে। এর ফলে কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলায় ভোর পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বনধ কর্মসূচি পালন করা হবে। কংগ্রেস ও সিপিএম-এর মতো রাজনৈতিক দল সহ আরও কিছু গণ সংগঠন আলাদাবাবে বারাক উপত্যকায় বনধের ডাক দিয়েছে।
উজান অসম-সহ সমগ্র রাজ্যেই আলাদা করে বনধের ডাক দিয়েছে অল অসম বেঙ্গলি ইয়ুথ স্টুডেন্টস ফেডারেশন। তারাও ভোর পাঁচটা থেকে বনধ-এর কর্মসূচি নিয়েছে। বাঙালি এই ছাত্র ফেডারেশন জানিয়েছে, যাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাঁরা কেউই বাংলাদেশী নন। এভাবে সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করে সমস্যার সমাধান হবে না বলেও জানিয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: 'বাঙালি-র হিন্দু-মুসিলম কী, কবে জাগব আমরা', অসম গণহত্যায় গর্জে উঠলেন তপোধীর]
তিনসুখিয়ায় ৫ বাঙালি যুবকের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে শিলচর শহরে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে একটি মিছিল বের করে সিআরপিসিসি। এই মিছিলে পা মেলান নাগরিক অধিকার সমন্বয় সমিতির প্রধান তপোধীর ভট্টাচার্য। শিলচরের বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দীপক সেনগুপ্ত, প্রাক্তন বিধায়ক মৌলানা আতাউর রহমান মাজার ভুঁইয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী মিসবাউল আলম-রা। শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। আর শেষ হয় নেতাজি মূর্তির পাদদেশে। প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা পার করে এই মিছিল শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া সকলেই তিনসুকিয়ায় বাঙালি হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানোরও আওয়াজ ওঠে এই মিছিল থেকে। মুখ্যমন্ত্রী সবানন্দ সবরওয়াল অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনও শুরু হবে বলে জানিয়েছে সিআরপিসিসি।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি অভিষেকের, বাঙালি-নিধনের প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা]
[আরও পড়ুন: কলকাতায় আছড়ে পড়ল বিক্ষোভের ঢেউ, অসমে বাঙালি-নিধনে তৃণমূলের মহামিছিল]
[আরও পড়ুন:মমতার 'ব্ল্যাক' প্রতিবাদ, অসমে পাঁচ বাঙালি নিধনে বিজেপি হটাও গর্জন বাংলায়]