৩৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের সংষ্কার, বিহার ভোটের আগে রাজ্যবাসীর মন পেতেই তড়িঘড়ি কাজ শেষ?
৩৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের সংষ্কার, বিহার ভোটের আগে রাজ্যবাসীর মন পেতেই তড়িঘড়ি কাজ শেষ?
ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে বিহারে। শেষ মহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসক বিরোধী সব পক্ষই। এবার এর মাঝে বিহারে রেল লাইনের সম্প্রসারণ ও সংষ্কারের কাজ সারল কেন্দ্র। এরফলে ট্রেনের গতিও যেমন বাড়বে সেই সঙ্গে কোনো লেট ছাড়াই নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেনগুলি, এমনটাই মনে করছে রেল মন্ত্রক।
বিহারবাসীর মন রাখতেই নতুন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রের মতো বিহারবাসীরও প্রাত্যহিক জীবনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ রেল। তাই নতুন লাইন থেকে শুরু করে বাড়তি ট্রেনের দাবি বিহারবাসীর দীর্ঘদিনের। এদিকে ভোটের আগে নতুন লাইন সংষ্কার বিহারবাসীর মন রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
৩৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের সংষ্কার
বর্তমানে বিহারের রাজধানী পাটনা হয়ে বিহারের জামুই জেলার ঝাজা পর্যন্ত ৩৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথেরই সংষ্কার করেছে রেল। এই লাইনটির যাত্রাপথ শেষ হয়েছে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন অবধি, যা নাম পরিবর্তনের আগে মুঘলসরাই স্টেশন নামে পরিচিত ছিল। এদিকে এই লাইনে এর আগে যো কোনও ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিমি গতিবেগে ছুটতে পারতো, ওয়াকিবহাল মহলে মতে এখন তা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে যাবে।
দূরপাল্লার ট্রেনে সাশ্রয় প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময়
একইসাথে এই লাইনেই আরও অনেক নতুন ট্রেন চালানোরও পরিকল্পনা করেছে রেল। যার ফলে যাত্রাকালে আরও অনেকটাই সময় বাঁচতে চলেছে যাত্রীদের। ইতিমধ্যেই এই লাইনে যাতায়াত করা প্রতিটা ট্রেনেরই প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এর ফলেই এই লাইনে অদূর ভবিষ্যতে আরও অনেক নতুন ট্রেন চালানো অনেকটাই সহজ হবে বলেই মত রেল মন্ত্রকের আধিকারিকদের। উদাহরণস্বরূপ বর্তমানে পাটনা থেকে দিল্লিগামী সম্পূর্ণা এক্সপ্রেস প্রায় ৩০ মিনিট আগে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন রেলে আধিকারিকেরা।
লকডাউনের জেরেই কাজের সুবিধা
এদিকে এই কাজের বরাত অনেক আগে দেওয়া হলেও লকডাউন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তা নতুন করে গতি পায়। রেলওয়ে ট্র্যাক, সিগন্যালিং এবং ট্র্যাকশন পাওয়ার যন্ত্রপাতির আপগ্রেডেশনের জন্য এর আগেই তিনটি পৃথক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকেও দায়িত্ব দেওয়া হয় রেলের তরফে। কিন্তু এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন প্রায় তিন বছর ধরে এই প্রকল্পের কাজ চললেও শেষ সাত মাসেই তা নতুন মাত্রা পায়। লোকাল ট্রেন সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ থাকাতেই কাজেরও অনেকটাই সুবিধা হয়।
কর্ম থেকে আর্থিক ক্ষেত্রে বাধা দূর করতে ঘরোয়া বাস্তু টিপস
{quiz_390}