মোদী কি অজেয়! ২০০৪ সালের কথা স্মরণ করিয়ে ২০১৯-এ জয়ের টার্গেট সোনিয়ার
‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অজেয় নন, ভুলে যাবেন না ২০০৪ সালের কথা।’ উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মোদী সরকারের পতনের বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, ২০০৪ সালে কী হয়েছিল, তা সবাই জানে।
'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অজেয় নন, ভুলে যাবেন না ২০০৪ সালের কথা।' উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মোদী সরকারের পতনের বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, ২০০৪ সালে কী হয়েছিল, তা সবাই জানে। বিজেপির বিজয় ব্যাপক প্রচারের সত্ত্বেও কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল। এবারই সেদিকেই এগোচ্ছে পরিস্থিতি।
নরেন্দ্র মোদি কি অজেয়
সোনিয়া গান্ধী এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, আপনারা কি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অজেয়। আদৌ না। আপনারা অটলবিহারী বাজপেয়ীজিকেও অজেয় ভেবেছিলেন, কিন্তু কংগ্রেস প্রমাণ করে দিয়েছে সেই ভাবনা ভুল। আবারও কংগ্রেস প্রমাণ করে দেবে মোদীকে অজেয় ভাবাও ভুল। ২০০৪-এর মতোই এবার কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
জনগণের থেকে কেউ বড় নয়
মায়ের কথা কেড়েই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতীয় ইতিহাসে এর আগে অনেকেই ভেবেছেন, তাঁরা অজেয়। যাঁরা এই অহংকারকে বিশ্বাস করে, তাঁরা কখনই অজেয় হতে পারেন না। কারণ ভারতের জনগণ যাঁকে বেছে নেবে সেই সবথেকে বড়। কংগ্রেস বিশ্বাস করে, জনগণের থেকে কেউ বড় নয়। এই নির্বাচনে মোদিজি অহংকারের নিপাত ঘটবে। ভারতবাসী প্রমাণ করে দেবে তাঁদের থেকে বড় কেউ নয়।
প্রচারে এগিয়েও পরাজয় ২০০৪-এ
উল্লেখ্য, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপির সরকার হয়েছিল। তারপর ২০০৪ সালে তাদের পরাজয় ঘটেছিল। অথচ সেবারও প্রচার-পরিকল্পনায় অনেক বেশি এগিয়েছিল বিজেপি। তারপরও তাদের শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। এবং তারপর কংগ্রেস ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেছে।
বিদেশিনী তকমা সত্ত্বেও কংগ্রেসের জয়
সেইসঙ্গে রাহুল মনে করিয়ে দেন, তখন কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস জিতলে বিদেশিনী প্রঘানমন্ত্রী হবেন, এমন প্রচারও তখন হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। তা সত্ত্বেও ভারতের মানুষ বেছে নিয়েছিল কংগ্রসকে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ডা. মনমোহন সিং এবং তিনি ১০ বছর সুমামের সঙ্গে কাজ করেছেন।
ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মনোনয়ন সোনিয়ার
এদিন সোনিয়া গান্ধী রায়বরেলি থেকে টানা চতুর্থবার লড়াই করছেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এই কেন্দ্রে লড়াই করছেন। আমেথি ছেড়ে দিয়েছিলেন পুত্র রাহুলকে। এদিন ছেলে-মেয়েসহ সমস্ত পরিবারকে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। মনোনয়ন পেশের আগে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা নিয়ে পুজো দেন। তারপর বিশাল রোড শো করে তিনি মনোনয়ন জমা দিতে যান।