'যুদ্ধ' নয় সন্ধি চাই, লোকসভার আগে সনিয়ার বার্তায় ক্ষোভ কি প্রশমিত হবে মমতার
লোকসভায় চিটফান্ড নিয়ে অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
লোকসভায় চিটফান্ড নিয়ে অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে সন্ধির প্রস্তাব দিয়ে ক্ষত পূরণ কররা চেষ্টা করলেন সনিয়া গান্ধী। তিনি জানালেন, আমরা দোষারোপ করি একে-অপরকে ঠিক আছে, কিন্তু দিনের শেষে আমরা এক।
সনিয়ার সন্ধির বার্তা
সনিয়া গান্ধীর এই বার্তা পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ঘটনা তাৎক্ষণিক, নাকি এর সুদূর প্রসারী কোনও প্রভাব রয়েছে, তা বলবে সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর কংগ্রেস নিয়ে কী অবস্থান নেবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। অপরপক্ষে বিজেপি এই ঘটনায় ক্ষীর খাচ্ছে।
বিরোধী ঐক্যের কাছে বিরাট ধাক্কা
এখন প্রশ্ন উঠছে লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন মোদী বিরোধী ঐক্য গড়ে উঠতে শুরু করেছে রাজ্যে রাজ্যে। তখন এ ধরনের ঘটনা বিরোধী ঐক্যের কাছে বিরাট ধাক্কা হয়ে দেখা দিল। অধীরের রণং দেহি আক্রমণের মুখে পড়ে কংগ্রেসের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে তৃণমূলও। তার প্রভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনিয়ার উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়েছেন, এরপর কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নয়।
ফুঁসে উঠলেন অধীর চৌধুরী
বুধবার সংসদে চিটফান্ড বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরই এই ঘটনা ঘটে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যারা বাংলায় চুরি করেছে, তাঁরাই এখন চোরেদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। বলেন, ‘চোর মাচায়ে সোর'। অবিলম্বে চিটফান্ডে লুঠ হওয়া টাকা ফেরত দেওয়া উচিত সরকারের।
মমতার ক্ষোভ প্রশমনে সনিয়া
অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীও। তিনি টেবিল চাপড়ে সহমত পোষণ করেন। এমনকী বিজেপি সাংসদরাও অধীরের বক্তব্যকে বাহবা দেন। তা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেন্ট্রাল হলে সনিয়া গান্ধীর দেখা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এর পরে আর কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখা যাবে না। তাতেই সরগরম হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। সনিয়া নিজেই উদ্যোগী হন মমতার ক্ষোভ প্রশমনে।