মোদীর ট্রাফিক আইনের বিরোধিতায় জোট বাঁধছে বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য
অবিজেপি রাজ্য বলে আগেই মোদীর এই নয়া ট্রাফিক আইন কার্যকর করেনি পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশ। রাজস্থানে কার্যকর হলেও জরিমানার বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছিল।
অবিজেপি রাজ্য বলে আগেই মোদীর এই নয়া ট্রাফিক আইন কার্যকর করেনি পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশ। রাজস্থানে কার্যকর হলেও জরিমানার বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছিল। এবার বিরোধিতায় সামিল হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও। নয়া ট্রাফিক আইনের বিরোধিতা শুরু করেছে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডও।
দুই রাজ্যেই নাকি জনমানসে এই নয়া ট্রাফিক আইন নিয়ে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তার থেকেও বড় কথা উত্তর প্রদেশে তো সবথেকে বেশি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে জরিমানা দিয়েছে পুলিসকর্মীরাই। এই নিয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিসের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে পুলিসকর্মীদের সতর্কও করা হয়েছিল। তারপরেই আরও এই নিয়ে বিরোধিকা শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী অশোক কাটারিয়া জানিয়েছেন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জরিমানা পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত পুরনো আইনই বলবত থাকবে। কেন্দ্র এই নিয়ে মতামত না জানানো পর্যন্ত নতুন আইনের আওতায় জরিমানা করা হবে না। তিনি আরও বলেছে যোগী সরকার মানুষের কথা ভেবেই কাজ করে।
[জঙ্গিদের মূলস্রোতে ফেরাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে পাকিস্তান, দাবি পাকমন্ত্রীর]
যোগীর রাজ্যের পথেই হাঁটতে চলেছে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডও। রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী মদন কৌশিক জানিয়েছেন, ত্রিবেন্দ্র সিং রাওত সরকার কখনও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করবেন না। তাই আপাতত পুরনো জরিমানার আইনই উত্তরাখণ্ডে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নতুন আইনে করা একাধিক জরিমানার পরিমান কমিয়ে অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
[ ২ কোটি লোক ঢুকেছে বাংলাদেশ থেকে, এনআরসি হবেই রাজ্যে, হুঁশিয়ারি দিলীপের]
নতুন ট্রাফিক আইনে জরিমানা নিয়ে আগে থেকেই সরব হয়েছিল অবিজেপি রাজ্যগুলি। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন দেশের অর্থনীতিতে অর্থের যোগান বাড়াতে ট্রাফিক আইন সংশোধন করে মোটা টাকা ঘরে তুলতে চাইছে মোদী সরকার। কিন্তু এতে সরকারের কোষাগার ভরবে না। উল্টে জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হবে।