উত্তরপ্রদেশ সরকারের নতুন প্রকল্প : 'গরু সাফারি'
রাস্তায় থাকা গরুদের নিয়ে সমস্যায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। আর এই কারণে তারা গরু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্যে 'গরু সাফারি' স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।
রাস্তায় থাকা গরুদের নিয়ে সমস্যায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। আর এই কারণে তারা গরু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্যে 'গরু সাফারি' স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। উত্তরপ্রদেশের প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে যোগী সরকার।
পরীক্ষামূলক ভাবে একটি সাফারি স্থাপন হবে
এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, "যোগী সরকার গরু রক্ষার বিষয়ে সচেতন এবং তাদের বাঁচানো ও সুরক্ষ করা আমাদের দায়িত্ব। বড়বঙ্কি এবং মহারাজগঞ্জে যেখানে আমাদের বড় খামার রয়েছে, সেখানে আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে একটি সাফারি স্থাপন করতে চাই। যেখানে ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ গোরু রাখা যাবে। এই ধরনের সাফারি স্থাপনের মাধ্যমে গো বর্জ্য থেকে জিনিস তৈরি ও বায়ো গ্যাস প্লান্ট তৈরিতে জোর দেওয়া হবে।"
মন্ত্রীর বক্তব্য
লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরী আরও বলেন, "গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো গোরু নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে এবং আমি তা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছি। এক জায়গায় অনেক গোরু রাখা এবং উন্নত রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগসুবিধা থাকার কারণে আমরা পর্যটনের দিকটার কথাও ভাবছি। লোকেরা অন্যা প্রাণীর সাফারি দেখতে যায়। আমরা পর্যটকদের গোরু সাফারি দেখার ব্যবস্থা করতে পারি। এটিকে সাফারি নাম দেওয়া হলেও কোনও ক্ষতি নেই। লোকজন এখানে এসে গোরু দেখতে পাবে।"
বেসাহারা গোবংশ সাহাবিতা যোজনা
চলতি বছরের অগাস্টে উত্তরপ্রদেশ সরকার 'মুখ্যমন্ত্রী নিরশ্রিত বেসাহারা গোবংশ সাহাবিতা যোজনা' চালু করেছে। এই প্রকল্পে নাগরিকদের কাছ থেকে গোরুর জন্য প্রতিদিন ৩০ টাকা অনুদান চাওয়া হয়েছে। এর আগে যোগী আদিত্যনাথ সরকার এ বছরের বাজেটে গো আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং বিপথগামী গবাদি পশুদের সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসন ও পৌর নিগমগুলিকে গো আশ্রয়ের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।