মিত্রোঁ, আচ্ছে দিন নেহি আয়েঙ্গে! প্রাক-নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন ‘জুড়ুয়া’ মোদী
আচমকা দেখে ফেললে, আপনিও বুঝতে পারবেন না- ইনি আসলে কে! দেখতে হুবহু নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪-য় এই ‘জুড়ুয়া’ মোদীই বিজেপির হয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন।
আচমকা দেখে ফেললে, আপনিও বুঝতে পারবেন না- ইনি আসলে কে! দেখতে হুবহু নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪-য় এই 'জুড়ুয়া' মোদীই বিজেপির হয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। উত্তরপ্রদেশে সাহারানপুরের বাসিন্দা উত্তরপ্রদেশের 'মোদী' অভিনন্দন পাঠক এখন মত বদল করেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন, মোদীর পক্ষে আর আচ্ছে দিন আনা সম্ভব নয়। তাই তিনি ২০১৯-এ পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রচারে ঝড় তুলেছেন রাহুলের হয়ে।
মিত্রোঁ, আচ্ছে দিন নেহি আয়েঙ্গে
‘জুড়ুয়া' মোদী এখন উল্টো প্রচার শুরু করেছেন। ২০১৪ সালে ‘আচ্ছে দিন'-এর হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন। এখন তিনিই বলছেন আচ্ছে দিন নেহি আয়েঙ্গে। মোদী যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সবই সার। বিজেপির হাত ধরে আর দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই ক-বছরে আমার সেই উপলব্ধি হয়েছে।
কংগ্রেসকে ভোট দিন
১৫ লক্ষ টাকা সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা ঢোকেনি কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কেটে গিয়েছে পাঁচ-পাঁচটি বছর। ‘জুড়ুয়া' মোদী এখন বলছেন, উন্নয়ন আনতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসকে ভোট দিন। কংগ্রেসই পারে দেশকে উন্নয়নের রূপরেখা দিতে।
ছত্তিশগড়ে কং-সমর্থনে ‘জুড়ুয়া’ মোদী
কথাবার্তা থেকে শুরু করে চলন-বলন একই রকম। মোদী বিরোধী কথা যদি ‘জুড়ুয়া' মোদীর মুখ দিয়ে বের হয়, তা আলাদা প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাই ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রচারের মুখ করে তুলল কংগ্রেস। অভিনন্দন পাঠককে ময়দানে নামাতেই কংগ্রেসের প্রচারে জোয়ার এল ছত্তিশগড়ে। মোদীর বিরুদ্ধে চাঁছাছোলা ভাষায় হানলেন বাক্যবাণ।
রাহুল-সোনিয়ার প্রচারে ‘মোদী’
আর নরেন্দ্র মোদীর হয়ে প্রচার নয়। এবার রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর হয়ে প্রচার চালাবেন উত্তরপ্রদেশের ‘মোদী'। তিনি সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। তিনি জানালেন বিজেপি ছাড়ার কথা। অক্টোবরেই তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসে যোগ দিয়েই তিনি রাহুল-সোনিয়ার হয়ে প্রচারে ঝাঁপালেন। তার আগে ছত্তিশগড় বিধানসভা প্রচার চালালেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাজে অখুশি ‘জড়ুয়া’ মোদী
বিগত পাঁচ বছরে তিনি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাজে আদৌ খুশি নন। তিনি তাঁর অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু কাদের কাজ কিছুই হয়নি। বিজেপির এই কাজ দেখে তিনি অত্যন্ত হতাশ। ফলে এই পরিস্থিতিতে তিনি কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করতে চান। চান বিজেপি শাসনের অবসান ঘটাতে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন বালুরঘাটে, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িকে লোকসভা দখলের স্বপ্ন]
মোদীকে ৫০ চিঠি
উত্তরপ্রদেশের ‘মোদী' অভিনন্দন পাঠক বলেন, দিন দিন বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে সাধারণ মানুষের। ক্ষোভ বেড়েছে তাঁরও। তাঁর ক্ষোভ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ইতিমধ্যে ৫০টি চিঠি লিখেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই তিনি বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন:শুদ্ধিকরণের টোপে মহিলার নগ্ন ভিডিও, তান্ত্রিকের কীর্তিকলাপে শিউরে উঠবেন আপনিও]
২০১৪-য় প্রচারে ‘জুড়য়া মোদী’র ভূমিকা
২০১৪ সালে বিজেপির হয়ে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন এই অভিনন্দন পাঠক। তিনি হুবহু প্রধানমন্ত্রী মতো দেখতে হওয়ায় তাঁর মুখ দিয়ে মোদীর প্রচার জনমানসে আলাদা প্রভাব পড়েছিল। এবার তার উল্টো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা উত্তরপ্রদেশে। কারণ প্রচারে তিনি মোদী সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরছেন। উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে তাঁকে অন্য রাজ্যেও ব্যবহার করছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে তাক লাগানো পরিকল্পনা পদ্ম শিবিরের ]