হোলি এবং দিওয়ালিতে একেবারে বিনামূল্যে মিলবে গ্যাস...! আরও কি জানালেন রাজনাথ?
পাখির চোখ উত্তরপ্রদেশ! অখিলেশের মাস্টারস্ট্রোকে কার্যত ল্যাজে গোবরে অবস্থা যোগী সরকারের। ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে একের পর এক বিধায়ক বিজেপি ছেড়েছে। শুধু তাই নয়, শরিকরাও মুখ ফিরিয়েছে রাম-রাজ্যে বিজেপির উপর থেকে। আর সেখানে
পাখির চোখ উত্তরপ্রদেশ! অখিলেশের মাস্টারস্ট্রোকে কার্যত ল্যাজে গোবরে অবস্থা যোগী সরকারের। ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে একের পর এক বিধায়ক বিজেপি ছেড়েছে। শুধু তাই নয়, শরিকরাও মুখ ফিরিয়েছে রাম-রাজ্যে বিজেপির উপর থেকে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ দখলে একেবারে পূর্ণ শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন শাহ এন্ড কোম্পানি।
একেবারে ময়দানে পড়ে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন তাঁরা। এই অবস্থায় আজ শনিবার গোডাতে নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য রাখতে চান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর সেখানে দাঁড়িয়ে ফের একবার বড় প্রতিশ্রুতি শোনা যায় কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রীর মুখে।
ফ্রি'তে গ্যাস সিলিন্ডার দেবে
তিনি বলেন, যদি বিজেপি সরকার ফের একবার উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় আসে তাহলে গরির মানুষদের জন্যে ফ্রি'তে গ্যাস সিলিন্ডার দেবে। প্রত্যেক বছর হোলি এবং দিওয়ালিতে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
একগুচ্ছ বড় প্রতিশ্রুতি দেন
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের দিবিয়াপুরের প্রচারে অংশ নেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি জানান, আগামী ১৮ মার্চ হোলি রয়েছে। আর গণনা রয়েছে ১০ তারিখ। আর সেদিনই ফের একবার উত্তরপ্রদেশের বুকে বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দেন বিজেপির বর্ষীয়ান এই নেতা। একই সঙ্গে একগুচ্ছ বড় প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শাহ বলেন, সরকার ফের একবার যোগী রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হলে ১৮ মার্চ থেকেই বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আগামী পাঁচ বছরের জন্যে ইলেকট্রিক বিলও পে করার দরকার নেই বলে প্রতিশ্রুতি শাহের গলায়।
তবে এই পরিষেবা শুধু কৃষকদের সার্থেই। এদিন ফের একবার একই কথা শোনা গেল রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যেও।
মোটেই দুর্বল কোনও দেশ নয়
অন্যদিকে এদিন রাজনাথ সিং আরও বলেন, ভারত এখন মোটেই দুর্বল কোনও দেশ নয়। গোটা বিশ্ব এখন ভারতের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং শোনে। যদিও আগে এমন ছিল না বলে অভিযোগ রাজনাথের। অন্যদিকে তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলে, কংগ্রেস শুধু বিশ্বের সামনে দেশের বদনাম করে থাকে।
এই প্রসঙ্গে গালওয়াল ভ্যালি সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন রাজনাথ সিং। বলেন, গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষের সময়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন চিনের হাতে ভারতের ৩৪ থেকে ৫০ জন সেনা শহিদ হয়েছেন। যেখানে চিনের তিন থেকে চার জন মারা গিয়েছে বলে দাবি ছিল তাঁর।
কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েও রাহুল গান্ধীকে এই বিষয়ে কোনও জবাব দিইনি। কারন আমাদের নরেন্দ্র মোদী বলেছিল যে যা পারে বলতে দিন...।
রাহুল গান্ধীকে তোপ রাজনাথের
শুধু তাই নয়, রাজনাথ সিংয়ের দাবি, রাহুল গান্ধী অভিজগ করেছেন মোদী সরকারের কারণে চিন এবং পাকিস্তান নাকি কাছাকাছি এসেছিল। উনি বোধহয় আধুনিক ইতিহাস পড়েনি বলেও দাবি। রাজনাথের অভিযোগ, পাকিস্তান যখন সিয়াচেন ঘাঁটি চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেহেরু।
এমনকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যখন কারাকোরাম হাইওয়ে তৈরি করা হয় সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন। এমনকি চিন-পাক আর্থিক করিডর তৈরির সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ছিলেন না, মনমোহন সিং বলেন বলেও একের পর এক বিস্ফোরক দাবি রাজনাথ সিংয়ের।