তপ্ত সাহারানপুরে নজরদারি চালাতে ড্রোন নামাল পুলিশ
একটি ধর্মীয় কাঠামো নির্মাণের সময় গত শুক্রবার উত্তেজনা ছড়ায় সাহারানপুরে। বচসার পর শিখ ও মুসলিমরা পারস্পরিক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এর জেরে তিনজন মারা যান। জখমের সংখ্যা অন্তত ১৯ জন। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রীয় সরকারও নড়েচড়ে বসে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদবকে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। সিআরপি এবং আইটিবিপি মিলিয়ে ছয় হাজার আধাসেনাকে পাঠানো হয়। এর ফলেই রাজ্য পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
সাহারানপুরের জেলাশাসক সন্ধ্যা তিওয়ারি বলেন, "নতুন করে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। কারফিউ রয়েছে। যদি আগামী কয়েক ঘণ্টাতেও একই পরিস্থিতি থাকে, তা হলে কারফিউ তোলার কথা ভাবা হবে। যে ধর্মীয় কাঠামো নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিবাদ, তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।"
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি (মিরাট রেঞ্জ) অলোক শর্মা বলেন, "আমরা সতর্ক আছি। সাহারানপুরে এমন বহু গলিপথ আছে, যা তিন-চারফুট চওড়া। দুর্বৃত্তরা এখান দিয়ে পালাচ্ছে। আমাদের পুলিশকর্মীদের পক্ষে এমন পরিস্থিতিতে ওখানে ঢোকাটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সরু গলি দিয়ে কে এসে হামলা করবে, আগে থেকে বোঝা মুশকিল। তাই ড্রোন নামানো হয়েছে। এতে ঘরে বসেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে পারছি। সরকারকে জানানো হয়েছে, আরও ড্রোন দিতে হবে।"