অযোধ্যার রায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চলবে নজরদারি
আগামী ১৭ নভেম্বর অযোধ্যার রায় দানের সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে এখন থেকেই সতর্ক উত্তর প্রদেশের পুলিস প্রশাসন।
আগামী ১৭ নভেম্বর অযোধ্যার রায় দানের সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে এখন থেকেই সতর্ক উত্তর প্রদেশের পুলিস প্রশাসন। অযোধ্যার রায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টেও নজরদারি চালাবে উত্তর প্রদেশ পুলিস। সেরকম আপত্তিকর পোস্ট দেখা গেলে গ্রেফতারও করা হতে পারে সংশ্লীষ্ট ব্যক্তিকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি
অযোধ্যা নিয়ে রায়দান হওয়ার কথা ১৭ নভেম্বরের আগেই। কারণ ১৭ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার আগেই তিনি রায়দান করবেন বলে খবর। এই রায় নিয়ে সোশ্যাল মিিডয়ায় কি পোস্ট করা হচ্ছে তার উপর নজরদারি চালাপে প্রশাসন। কোনও আপত্তিকর পোস্ট দেখা গেলেই জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা এনএসএ-র আওতায় সংশ্লীষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে।
প্রস্তুতি শুরু উত্তর প্রদেশে
অযোধ্যা মামলায় রায়দানকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াতে পারে রাজ্যে সেই আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিস প্রশাসন। ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন, এখনই অযোধ্যার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অযোধ্যা গামী সব গাড়িতেই বিশেষ তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে গতকালই গোয়েন্দারা জানিয়েছেন অযোধ্যায় অনুপ্রবেশ করেছে পাক জঙ্গিরা। সেকারণে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। ডিজিপি জানিয়েছেন অযোধ্যার রায়দানের পর কোনও ব্যক্তি হাতে আইন তুলে নিলেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জাতীয় সুরক্ষা আইন বলবৎ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফোনকল রেকর্ডের নির্দেশ
শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে নজরদারি চালানো নয়, এই সময় অযোধ্যা এবং উত্তর প্রদেশে যে ফোনকলগুলি হবে সেগুলিও রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিজিপি। গোটা শহরে পাথর এবং ইটের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এবং অযোধ্যায় সবরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অযোধ্যায় কোনও রকম সাম্প্রদায়িক ব্যানার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকী কোনও রকম অস্ত্র প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী লাইসেন্স প্রাপ্ত অস্ত্রও কেউ রাখতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। গোটা শহরে অ্যাসিড, বিস্ফোরক বিক্রির উপর নিষধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী লাউড স্পিকারও বাজানো যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।