উত্তর প্রদেশে হাই অ্যালার্ট, নিরাপত্তায় মোতায়েন ড্রোন
উত্তর প্রদেশে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় যেমন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, ঠিক তেমনই ১২ টি জেলায় ইন্টারনেট সংযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবারের প্রার্থনার পরে যাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে হিংসা ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের বিজনৌর, বুলন্দসহর, মুজাফ্ফরনগপর, মীরাট, আগ্রা, ফিরোজাবাদ, সম্ভল, আলিগড়, গাজিয়াবাদ, রামপুর, সীতাপুর, এবং কানপুরে ইন্টারেট সংযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে লখনৌতে হিংসা ছড়ালেও, এখনও সেখানে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
আগ্রায়
ইন্টারনেট
সংযোগ
বিচ্ছিন্ন
করা
হয়েছে
সকাল
৮
টা
থেকে
সন্ধে
ছটা
পর্যন্ত।
অন্যদিকে
বুলন্দসহরে
শনিবার
সকালে
ইন্টারনেট
সংযোগ
ফের
চালু
করা
হবে
বলে
জানানো
হয়েছে।
উত্তর
প্রদেশের
এডিজি
আইনশৃঙ্খলা
পিভি
রামস্বামী
জানিয়েছেন,
বিভিন্ন
জেলায়
নিরাপত্তা
ব্যবস্থা
জোরদার
করা
হয়েছে।
গোরক্ষপুরের উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনী ফ্ল্যাগমার্চ করছে। পুলিশের তরফে শান্তি কমিটিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জেলাশাসক বিজয়েন্দ্র পাণ্ডিয়ান জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়াও, পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করতে েক্যামেরা লাগানো ড্রোনও মোতায়েন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার নমাজের পরে হওয়া হিংসায় উত্তরপ্রদেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের অনেকের দেহে বুলেটের আঘাত থাকলেও, পুলিশের দাবি তারা গুলি চালায়নি। প্লাস্টিক ও রবারের বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি বিজনৌরেই একমাত্র গুলি চালানো হয়েছিল। সেখানে বছর ২০-র এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
নিজেদের কাজের সমর্থনে পুলিশের তরফে একাধিক ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে দুই ব্যক্তি পুলিশের ওপর গুলি চালায়। গত সপ্তাহে ২১ জেলায় হওয়া হিংসায় ২৮৮ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি। যাঁদের মধ্যে ৬২ জনের আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
পুলিশের তরফে ৩২৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৫৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।