গণনা কেন্দ্রগুলির সামনে ক্যাম্প তৈরি করুন! উত্তরপ্রদেশ ভোটের মধ্যেই কেন বললেন রাকেশ?
এই মুহূর্তে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন চলছে উত্তরপ্রদেশে। এমনকি সামনে শেষ এবং সপ্তম দফার নির্বাচন। আর এরপরেই ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফলাফল। দীর্ঘ একমাসের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসল তা জানা যাবে সেদিনই। বিজেপি
এই মুহূর্তে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন চলছে উত্তরপ্রদেশে। এমনকি সামনে শেষ এবং সপ্তম দফার নির্বাচন। আর এরপরেই ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফলাফল। দীর্ঘ একমাসের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসল তা জানা যাবে সেদিনই। বিজেপি না বিরোধী!
কার দখলে এই পাঁচ রাজ্য। তবে বিজেপির কাছে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক ইস্যুতে কোননাসা যোগী সরকার। সেই অবস্থায় ভোট হচ্ছে সে রাজ্যে। ফলে ১০ তারিখ বিশেষ নজর থাকবে উত্তরপ্রদেশের উপর।
তবে একদিকে যখন ষষ্ঠ দফার নির্বাচন চলছে তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। ভোট শেষে গণনাতে প্রবল গোলমালের আশঙ্কা তাঁর। এমনকি গণনা কেন্দ্রে ইভিএম বদলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কা থেকেই ভোট গণনার একদিন আগেই কেন্দ্রগুলিতে উত্তরপ্রদেশ মানুষ এবং কৃষকরা যাতে পৌঁছে যান সেই আবেদন রাখলেন কৃষক নেতা।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রগুলির বাইরে ক্যাম্প তৈরি করে থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি। রাকেশের মতে, এই সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে "irregularities"হতে পারে।
একদিকে যখন ভোট চলছে উত্তরপ্রদেশে তখনই কৃষক নেতা রাকেশের এহেন দাবি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি হয়েছিল সবার মনে আছে। ফলত কখনই এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। ফলত গণনা শুরু হওয়ার আগেই গণনা কেন্দ্রগুলিকে থাকার কথা বলছেন রাকেশ। যাতে যেভাবেই হোক কারচুপি ঠেকানো সম্ভব হয় বলে দাবি কৃষক নেতার।
তাঁর মতে, ভোট গণনার দিন কেন্দ্রের সামনে কাউকে ঘেষতে দেওয়া হবে না। ফলত একদিন আগেই বালিশ-বিছানা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মানুষকে পৌঁছে যাওয়ার কথা বলছেন রাকেশ। আর তা বলতে গিয়েই রাকেশ বলেন, গত বছর উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের দিনে বিরোধীরা কারচুপি একাধিক অভিযোগ তুলেছিল। ফলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলছেন এই কৃষক নেতা।
বলে রাখা প্রয়োজন কেন্দ্রের বিতর্কিত তিন কৃষক আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথে হেঁটেছিল কৃষকরা। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাকেশ। বিক্ষোভ উঠে গেলেও লাগাতার বিজেপি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এমনকি উত্তরপ্রদেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার সেরেছেন এই কৃষক নেতা। মানুষকে যোগী-মোদীর বিরুদ্ধে ভোট দানের কথাও বলেছেন। এমনকি অখিলেশের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া মহাজোটকে অঘোষিত সমর্থনও করেছেন রাকেশ। অন্যদিকে রাকেশের এহেন দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের মতে, কারচুপি নয়, আমরা মানুষের ভোটের উপরেই বিশ্বাস রাখি।