UP Election 2022: উত্তর প্রদেশে ৪৭ টি আসনে কম ব্যবধানে জয়! ২০১৭-র হিসেব উল্টে যেতে পারে এবারের নির্বাচনে
UP Election 2022: উত্তর প্রদেশে ৪৭ টি আসনে কম ব্যবধানে জয়! ২০১৭-র হিসেব উল্টে যেতে পারে এবারের নির্বাচনে
সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা বলছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং মনিপুরে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও গোয়া এবং পঞ্জাবে এককভাবে কোনও দলের সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও থাকতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে উত্তর প্রদেশের ২০১৭-র ফলাফল বিবেচনা করলে দেখা যাবে, ১০টির মধ্যে একটি আসনে ৫ হাজার ভোটের এদিক-ওদিক ফলাফল অনেকটাই বদলে দিতে পারে। পঞ্জাবে পাঁচটির মধ্যে একটি আসনে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
৫০০০-এর কম ব্যবধানে ফল
২০১৭-এর
নির্বাচনে
দেখা
গিয়েছে,
উত্তর
প্রদেশের
৪০৩
টি
আসনের
মধ্যে
অন্তত
৪৭
টি
আসনে
এবং
পঞ্জাবের
১১৭
টি
আসনের
মধ্যে
অন্তত
২৬
টি
আসনে
৫
হাজারের
কম
ব্যবধানে
ফলাফল
নির্ধারণ
হয়েছে।
যেখানে
উত্তর
প্রদেশে
গড়ে
প্রতি
কেন্দ্রে
ভোটারের
সংখ্যা
৩.৭৪
হাজার
সেখানে
নির্বাচনী
লড়াইয়ে
৫
হাজার
ভোটের
ব্যবধান
এমন
কিছু
নয়।
তবে
পঞ্জাবে
কেন্দ্র
পিছু
ভোটারের
সংখ্যা
কম।
সেখানে
কেন্দ্র
পিছু
গড়ে
১.৮৩
লক্ষ
ভোটার
রয়েছেন।
কম ব্যবধানের বেশ আসন জিতেছিল বিজেপি
উত্তর
প্রদেশে
২০১৭
সালে
যে
৪৭
টি
আসনে
৫
হাজারের
কম
ব্যবধানে
জয়-পরাজয়ের
নিষ্পত্তি
হয়,
সেগুলির
মধ্যে
বিজেপির
ঝুলিতে
এসেছিল
২৩
টি
আসন।
আর
১৫
টি
আসনে
তারা
ছিল
দ্বিতীয়স্থানে।
অন্যদিকে
বিজেপির
প্রধান
বিরোধী
এই
ধরনের
১৩
টি
আসনে
জয়
পেয়েছিল
এবং
তারা
১৭
টি
আসনে
ছিল
দ্বিতীয়
স্থানে।
এই
ধরনের
আটটি
আসনে
জয়
পেয়েছিল
বিএসপি।
অন্যদিকে
কংগ্রেস,
রাষ্ট্রীয়
লোকদল
এবং
আপনা
দল
এই
ধরনের
একটি
করে
আসনে
জয়
পেয়েছিল।
পঞ্জাবের
যে
২৬
টি
আসনে
৫
হাজারের
কম
ভোটে
জয়
পরাজয়ের
নিষ্পত্তি
হয়েছিল,
সেগুলির
মধ্যে
১১
টি
জিতেছিল
কংগ্রেস,
৭
টি
অকালি
দল,
৬
টি
আপ
এবং
দুটি
পেয়েছিল
বিজেপি।
১০০০ ভোটের কমে জেতা আসন
উত্তর প্রদেশের ৪৭ টি আসনের মধ্যে ৮ টি আসনে জয়ের ব্যবধান ছিল ১ হাজারের নিচে। এর মধ্যে থেকে বিজেপি পেয়েছিল পাঁচটি( দুমারিয়াগঞ্জ, মীরাপুর, শ্রাবস্তি, মুহাম্মাদবাদ-গোহনা(এসসি) এবং রামপুর মনিহরণ)। বিএসপি জিতেছিল ২টি (মন্ত এবং মোবারকপুর)। ডুমারিয়াগঞ্জে বিজেপির রাঘবেন্দ্রপ্রতাপ সিং মাত্র ১৭১ ভোটে বিএসপির সাইদা খাতুনকে পরাজিত করেছিলেন। অন্যদিকে মীরাপুরে বিজেপির টিকিটে লড়াই করা অবতার সিং ভাদানা এসপির লিয়াকত আলিকে ১৯৩ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
১০০০ থেকে ৩০০০ হাজার ভোটে জেতা আসনগুলি
৪৭ টি আসনের মধ্যে নটি আসনে ভোটের ব্যবধান ছিল ১ হাজার থেকে ২ হাজারের মধ্যে( দুধি, ভাদোহী, পাট্টি, মাতেরা, বাঁশডি, তান্ডা, মাহমুদাবাদ, উনচাহার এবং ভরখানা)। অন্যদিকে ১০ টি আসন ব্যবধান ছিল ২০০০ থেকে ৩০০০-এর মধ্যে( নজিবাবাদ, লালগঞ্জ, গাইনসারি, কাঁঠ, ফেরেন্দা, বদলাপুর, কনৌজ, আত্রৌলিয়া, সিধৌলি এবং প্রতাপপুর)। যে ১২ টি আসনে ভোটের ব্যবধান ৩ হাজার থেকে ৪ হাজারের মধ্যে ছিল সেগুলি হল মোরাদাবাদ নগর, জঙ্গিপুর, ধৌরাহরা, চিল্লুপারস আওনলা, ঢোলনা, দিদারগঞ্জ, হরচাঁদপুর, মহোলি, পাটিয়ালি, ছাপরাউলি এবং বিধুনা। যে আটটি আসনে ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার থেকে ৫ হাজারের মধ্যে ছিল সেগুলি হল নাকুর, মানঝানপুর, মছলিশহর, ইসাউলি, শাহাবাদ, সহসওয়ান, গোরক্ষপুর গ্রামীণ এবং শাহরানপুর নগর।