কংগ্রেসের ভোট-ভরাডুবিতে কাঠগড়ায় শীর্ষনেতারা, জোতিরাদিত্যের পৌরহিত্যে ঘোর অন্তর্দ্বন্দ্ব
লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সভাপতিত্বে চলা বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা জড়িয়ে পড়লেন বাকযুদ্ধে।
লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সভাপতিত্বে চলা বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা জড়িয়ে পড়লেন বাকযুদ্ধে। কংগ্রেসের একাংশ টিকিট বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আর এই মর্মে রাজ্যে পরাজয়ের জন্য দায়ী করেন একশ্রেণির সিনিয়র কংগ্রেস নেতাদের। উত্তরপ্রদেশে চূড়ান্ত ব্যর্থতার কাঁটাছেড়া করতে নয়া সংকটে পড়ল কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের ফলাফল খতিয়ে দেখে, কেন এমন শোচনীয় ফলাফল হল, তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ সংকট সামনে চলে আসে। উল্লেখ্য, সারা দেষে মাত্র ৫২টি কেন্দ্রে জিততে সমর্থ হয়েছে কংগ্রেস। আর উত্তরপ্রদেশের মাত্র একটি আসন জিততে সমর্থ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অর্ধেক রাস্তা যেতেই পুলিশের জলকামানে ছত্রভঙ্গ বিজেপি, তবু অভিযান সফল বলে দাবি দিলীপদের]
এবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী আমেথি কেন্দ্র থেকেও জিততে পারেননি। এই ফলাফল কংগ্রেসের পক্ষে শোচনীয়, রাহুলের পক্ষে হৃদয়বিদারক। কেন রাহুল জিততে পারলেন না, সোনিয়া ছাড়া কংগ্রেসের অন্যান্যরা কেন জিততে ব্যর্থ হলেন, তা নিয়েই পর্যালোচনা হয়। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ ছাড়ার ব্যাপারে অনড় থাকার পরই বিভিন্ন রাজ্যের ইউনিটগুলিতে অন্তর্ঘাতের খবর আসতে শুরু করে।
এবছরই হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচনে। এমতাবস্থায় রাহুল গান্ধী যদি সভাপতি থাকতে না চান, তাহলে দ্রুত সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি নির্বাচন করে কংগ্রেসকে এগোতে হবে। মোট কথা একটা নির্বাচন টলিয়ে দিয়েছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতৃত্ব মনে করছে, গান্ধী পরিবারের কেউই কংগ্রেসকে সংঘবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই রাহুলকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা না দিতে।
[আরও পড়ুন:লালবাজার অভিযানে জয় দেখছে বিজেপি! অগ্নিগর্ভ কলকাতায় মিলল আন্দোলনের রসদ]