'প্রেমে পড়েছি, পড়তে পারিনি', বোর্ডের পরীক্ষায় এমন হাজারো আবেদনে হতভম্ব উত্তরপ্রদেশের পরীক্ষকরা
কেউ লিখেছে, প্রেমে পড়ায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পারিনি। কেউ লিখেছে, বাবা মারা গিয়েছেন। এমন হাজারো আবেদনে উত্তরপ্রদেশের বোর্ডের খাতা দেখতে বসে মাথায় হাত পরীক্ষকদের।
কেউ লিখেছে, প্রেমে পড়ায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পারিনি। কেউ লিখেছে, বাবা মারা গিয়েছেন। কেউ লিখেছে, মা নেই, পরীক্ষায় ফেল করলে বাবা মেরে ফেলবে। এমন হাজারো আবেদনে উত্তরপ্রদেশের বোর্ডের খাতা দেখতে বসে মাথায় হাত পরীক্ষকদের।
[আরও পড়ুন:উদয়পুরে থানার ছাদে যৌনমিলন, স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওয় শোরগোল]
উত্তরপ্রদেশে বোর্ডের পরীক্ষার খাতায় নিজের জীবনকাহিনি লিখে এল এক ছাত্র। এর আগে উত্তরপত্রের মধ্যে নোট রাখার অনেক গল্প সামনে এসেছে। তবে প্রেমে পড়ে পরীক্ষকের কাছে পাশ করানোর আবেদন নিঃসন্দেহে অভিনব।
পরীক্ষার খাতায় ছাত্রটি লিখেছে, 'আমি পূজাকে ভালোবাসি। প্রেম এমন জিনিস না বাঁচতে দেয় না মরতে। স্যার প্রেমের কারণে পড়তে পারিনি।'
বাকী পুরো খাতায় এই প্রেমের করুণ কাহিনি ছাড়া আর কিছুই লেখা ছিল না। তবে একটি হার্ট এঁকে পূজাকে প্রেম নিবেদন করে এসেছে ছাত্রটি। যা দেখে হতবাক পরীক্ষক।
শুধু এই ছাত্রই নয়, আরও একাধিক ছাত্রছাত্রী নানা দাবি করে বসেছে পরীক্ষার খাতায়। কেউ টাকা স্টেপল করে দিয়েছে। কেউ পরীক্ষককে প্রণাম জানিয়ে পাশ করার আবেদন করেছে। কেউ লিখেছে মা নেই, ফেল করলে বাবা মেরে ফেলবে। কেউ লিখেছে পরীক্ষায় পাশ না করালে সে আত্মহত্যা করবে।
উত্তরপ্রদেশে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৫.৫ কোটি উত্তরপত্র পরীক্ষা করে দেখছেন ১.৪৬ লক্ষ শিক্ষক। রাজ্য জুড়ে মোট ২৪৮টি সেন্টার গড়া হয়েছে।