কোচিং সেন্টারের আড়ালে নাশকতার ছক, নয়াদিল্লিতে এটিএস-এর জালে ৩ পাক গুপ্তচর
কোচিং সেন্টার-এর আড়ালে নাশকতার ছক, নয়াদিল্লিতে এটিএস-এর জালে ৩ পাক গুপ্তচর
নয়াদিল্লি, ২ ফেব্রুয়ারি: নয়াদিল্লিতে বসে ভারতে হামলার ছক কষতে থাকা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ৩ জন এজেন্টকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস। অভিযোগ জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ক্যাম্প থেকে তারা অবৈধভাবে প্রযুক্তিগত উপায়ে গোপন নথি হাতাবারও চেষ্টা করে।[জঙ্গিরা কত মাস মাইনে পায়? মৃত জঙ্গির পরিবার কত ক্ষতিপূরণ পায়? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট গোয়েন্দাদের]
সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির পাঞ্জাবীবাগে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের এক কোচিং সেন্টার থেকে ৬ টি উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালাচ্ছিল এই আইএসআই এজেন্টরা। খবর, সেই সমস্ত টেলিফোন এক্সচেঞ্জ থেকে তারা যোগাযোগ রাখত পাকিস্তানে।[এইমুহূর্তে রাজ্যের জেলে থাকা সর্বোচ্চ নিরাপত্তাধীন বন্দি আইএসআইএস লিঙ্কম্যান মুসা!]
গোপন সূত্রে এখপর পাওয়া মাত্রই এই নাশকতাবাদী আইএসআই এজেন্টদের গ্রফতার করে এটিএস। এই ৩ নাশকতাবাদীর নাম গুলশন সেন, শ্যাম বাবু, শিবেন্দ্র মিশ্র। এরা ৩ জন মিলে ওই কোচিং সেন্টার খুলে, তার আড়ালে এই সমস্ত নাশকতাবাদী কাজ কর্ম চালাত বলে জানা গিয়েছে।[জঈশের নামে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি চিঠি, সঙ্গে ৫০ কোটি টাকা দাবি ]
সেন্টারে,গুলশন সেন টেকনিক্যাল হেড-এর পদে নিযুক্ত হয়ে যায় । তার কাছ থেকে প্রচুর সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন এবং ডেটা কার্ডও শুধু তাই নয়, জম্মু কাশ্মীরের একাধিক সেনা চৌকিতে ফোন করে, সেখান থেকে বিভিন্ন গোপন নথি উদ্ধারের চেষ্টাও করত গুলশন।[পাক অধীকৃত কাশ্মীরে ফের ৪২টি জঙ্গি লঞ্চ প্যাড তৈরি হয়েছে!]
সার্ভার লোকেশনকে গোপন রেখে কোচিং সেন্টারের বিভিন্ন ঘর থেকে তারা চালাত অবৈধ নেটওয়ার্কিং -এর এই কাজ। এছাড়াও তারা আরও ৫ আইএসআই এজেন্টকে আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কুয়েতে থাকা আইএসআই-এর চাঁইদের সঙ্গে যোগাযোগ করত ওই পাক এজেন্টরা বলে খবর।