অপহরণ–গণধর্ষিত, অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ফের ধর্ষিত উত্তরপ্রদেশের দলিত কন্যা
অপহরণ–গণধর্ষিত, অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ফের ধর্ষিত উত্তরপ্রদেশের দলিত কন্যা
রক্ষকই ভক্ষক। উত্তরপ্রদেশের ১৩ বছরের এক দলিত ধর্ষিতা কিশোরী নিজের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে পুলিশরে কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে স্টেশন হাউজ অফিসারের (এসএইচও) কাছে ফের ধর্ষণের শিকার হল। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীকে আগে অপহরণ করে চারজন মিলে গণধর্ষণ করেছিল, তারই অবিযোগ জানাতে গিয়েছিল পুলিশের কাছে। উত্তরপ্রদেশে বরাংবার এ ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমতো অস্বস্তিতে যোগী সরকার।
চাইল্ডলাইন
টিমের
কাছে
ঘটনার
বর্ণনা
করতে
গিয়ে
মেয়েটি
জানিয়েছে
যে
তাকে
প্রথমে
অপহরণ
করে
মধ্যপ্রদেশের
ভোপালে
নিয়ে
যাওয়া
হয়,
এরপর
চারজন
মিলে
ধর্ষণ
করে
এবং
বাড়িতে
ছেড়ে
দিয়ে
যায়।
পুলিশ
এই
ঘটনায়
এসএইচও
এবং
এক
মাসি
সহ
ছয়জনের
বিরুদ্ধে
অভিযোগ
দাযের
করেছে।
বহিষ্কার
করা
হয়েছে
এসএইচওকে।
ললিতপুরের এসপি নিখিল পাঠক এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'মাসি ও দু’জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রথমবার (২৬ এপ্রিল) যখন আক্রান্ত থানায় এল কেন তার অভিযোগ দায়ের করা হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ পুলিশের মতে, মেয়েটির মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জানান যে ২২ এপ্রিল তাঁর মেয়েকে স্থানীয় ৪ ব্যক্তি অপহরণ করে ভোপালে নিয়ে চলে যায়। তারা সেখানে তিনদিন থাকে এবং ক্রমাগত তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে যায়।
২৬ এপ্রিল অভিযুক্তরা ওই মেয়েকে স্থানীয় পুলিশ থানায় ছেড়ে যায় এবং তাকে তার মাসির হাতে তুলে দেওয়া হয়। একদিন পর আক্রান্ত কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করার জন্য তাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সন্ধ্যার সময় তার মাসি তাকে নিয়ে স্টেশন হাউজ অফিসারের ঘরে নিয়ে যায়, যেখানে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। আরও একবার তাকে মাসির হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং মেয়েটির অভিভাবক অন্ধকারেই থাকেন কিছুই জানতে পারেন না।
৩০ এপ্রিল পুলিশ ওই মেয়েটিকে চাইল্ডলাইন টিমের হাতে তুলে দেয় তার কাউন্সেলিং–এর জন্য এবং সেখানেই সে মৌখিকভাবে সব জানায়।