হায়দরাবাদের মত সাজা দেওয়া হোক অপরাধীদের, দাবি উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবার
দিল্লির হাসপাতালের হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে গত রাতে মারা গেলেন উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা তরুণী। সন্ধে থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাত ১১টা ১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। বাঁচানোর চেষ্টা সত্ত্বেও রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই হায়দরাবাদের মত এই ক্ষেত্রেও দ্রুত ন্যায় বিচার চাইলেন নির্য়াতিতার পরিবার।
|
হায়দরাবাদের মত অভিযুক্তদের এনকাউন্টার চাইলেন মৃতার বাবা
হায়দরাবাদের মত অভিযুক্তদের এনকাউন্টার চাইলেন উন্নাওয়ের মৃত নির্যাতিতার বাবা। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'এদেরকে দৌড় করিয়ে গুলি করা হোক বা দ্রুত ফাঁসিতে চড়ানো হোক।' এরপর প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, 'প্রশাসন আমাকেকে আমার মেয়ের মৃত্যুর খবর দেয়নি। এদিকে ওই পাঁচজন আমাদেরও প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে অনবরত।'
|
'আমার বোন বাঁচতে চেয়েছিল'
এদিকে নির্যাতিতার ভাই বলেন, 'আমার আর কিছউ বলার নেই। আমার বোন আর আমাদের মাঝে নেই। আমি চাই পাঁচ দোষীকে দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানো হেক। গতকাল আমার কাছে ও কাছে বাঁচার আকুতি করেছিল। বলছিল, আমাকে বাঁচাও, আমি মরতে চাই না, যারা আমার সঙ্গে এমন করল,তাদের ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই।'
'আমরা ন্যায়বিচার পাইনি'
এদিকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিস্কৃয়তার অভিযোগ আনেন মৃতার বোনও। ন্যায় বিচার চেয়ে মৃতার বোন বলেন, 'আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। ঠিক সময়ে অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। ঘটনার পর আমাদের সঙ্গে কেউ দেখাও করতে আসেনি।'
|
গত বছরের ডিসেম্বরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তরুণী
গত বছরের ডিসেম্বরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন উন্নাওয়ের ২৩ বছরের তরুণী। বৃহস্পতিবার রায়বরেলির আদালতে মামলার শুনানিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় উন্নাওয়ের সিন্দুপুর গ্রামের বাইরে ৫ জন তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়, ছুরি মারা হয়, তারপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শরীর।
|
সেই অবস্থাতেই এক কিলোমিটারের বেশি ছুটে আসেন মেয়েটি
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন ধর্ষণকারীও ছিল বলে অভিযোগ। বাঁচার প্রবল চেষ্টায় সেই অবস্থাতেই এক কিলোমিটারের বেশি ছুটে আসেন মেয়েটি। অবশেষে একজনকে দেখতে পেয়ে সাহায্য চান। ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া অবস্থায় লখনউয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি অবনতী হতে এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে আসা হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে।
হায়দরাবাদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার
উন্নাওয়ের এই ঘটনা ঘটার আগে গত মাসের ২৭ তারিখ ঘটে আরও একটি নৃশংস ঘটনা। হায়দরাবাদের থেকে কিছুটা দূরের শামসাবাদে ধর্ষণ করে পুরিয়ে মারা হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে শুক্রবার ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করানো হয়। সেই সময় পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষঅটা করলে পুলিশ চার অভিযুক্তকেই গুলি করে।