উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডে মৃতের দেহ এল গ্রামে, ঢল নামল জনতার, রবিবার শেষকৃত্য
উন্নাও-কাণ্ডে ধর্ষিতার লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিন তাঁর মৃতদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গ্রামে ঢল নামে।
উন্নাও-কাণ্ডে ধর্ষিতার লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শনিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল থেকে উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডের শিকার মহিলার মৃতদেহ গ্রামে আনাহয়েছে। রবিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্মান্ন হবে। এদিন তাঁর মৃতদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গ্রামে ঢল নামে।
এদিন উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে সারা দেশ প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। তার মধ্যে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দুই মন্ত্রী দেখা করতে আসলে, গ্রামে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। কমল রাণি বরুণ ও স্বামী প্রসাদ মৌর্য়ের কনভয় গ্রামে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা স্লোগান দিতে শুরু করে। দু'জন মন্ত্রীর কনভয় যারা আটকে ছিল, তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এরপর উন্নাওয়ের ধর্ষিতার মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখা দেয়। এই ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে লখনউতে কংগ্রেসের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। হজরতগঞ্জে কংগ্রেসের কর্মীরা মহিলাদের ওপর বাড়তে থাকা অপরাধকে সামনে রেখে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে মঞ্চ করে প্রতিবাদ করেন।
Unnao: Mortal remains of Unnao rape victim have been brought to her village, from Safdarjung hospital in Delhi. She had passed away last night during treatment. pic.twitter.com/p4OsU61Poh
— ANI UP (@ANINewsUP) December 7, 2019
আদালতে শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় পাঁচজন লোক জ্বালিয়ে দিয়েছিল উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডের শিকার মহিলাকে। জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়েই অভিযুক্ত হামলা করেছিলেন মহিলার উপর। গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত। সেই আগুনে দাউ দাউ শরীরটা নিয়ে ছুটেছিলেন এক কিলোমিটার। নিজেই অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থা আরও অবনতি হলে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। ওই মহিলাও আগুন লাগানোর আগে তাঁর ভাইয়ের কাছে ন্যায়বিচার পেতে চেয়েছিলেন। দেখতে চেয়েছিলেন ধর্ষকের শাস্তি। অত্যন্ত আবেগময় কথোপকথনে মহিলা তার ভাইকে বলেছিলেন, তিনি বাঁচতে চান এবং দেখতে চান অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে।