স্বপ্নের গুপ্তধন উদ্ধারে ৪৫ দিন ধরে মাটি খোঁড়ার কাজ চলবে উন্নাওয়ে
সত্যি দৈববাণী। নাকি প্রচারের আলোয় আসার তাগিদ!
আর তারই জেরে কি না ৪৫ দিন ধরে চলবে মাটি খোঁড়াখুড়ি!
তা সে যাই হোক। বাবা শোভন সরকারের স্বপ্নে দেখা গুপ্তধন উদ্ধার করতে উত্তরপ্রদেশের দন্ডিয়া খেরা গ্রামের পুরানো কেল্লায় শুক্রবার সকাল থেকেই খননকাজ শুরু করে দিয়েছেন ভারতের আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) কর্মীরা।
এএসআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, বাবা শোভন সরকারের গণিত ও জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডয়া (জিএসআই)-র মানচিত্র অনুযায়ী সোনা পেতে গেলে মাটির ৬৫ ফুট গভীর পর্যন্ত খুড়তে হবে। মোট ৪৫ দিন সময় লাগবে এই 'স্বপ্নের গুপ্তধন'-এর সন্ধান পেতে। অবশ্য যদি তা আদৌ থেকে থাকে।
কয়েক সপ্তাহ আগে শোভন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শোভন সরকার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানান, মৃত রাজা রাম বকস সিংহ তাঁর স্বপ্নে এসে এই গুপ্তধন উদ্ধার করে ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এমনকী স্বপ্নে তিনি এও জানিয়েছেন যে এই সোনা পেলে বদলে যেতে পারে ভারতের অর্থনীতির চালচিত্রও।
এদিন সকাল সাড়ে সাতটায় রীতিমতো পুজো করে শুরু হয় মাটি খোঁড়ার কাজ। খনন এলাকা থেকে কিছুটা দূরে বাবা শোভন সরকারের অনুগামীরা যজ্ঞর ব্যবস্থা করেন। চলতে থাকে মন্ত্র উচ্চারণও।
এই গুপ্তধন উদ্ধারকে কেন্দ্র করেই উন্নাওতে এদিন ছিল উৎসবের হাওয়া। ঘুমন্ত এই জেলা হঠাৎ করে যেন প্রাণ খুঁজে পেয়েছে। সোনা উদ্ধারের খবর পেয়েই প্রায় গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলে।সকাল থেকেই পুরানো কেল্লায় ভিড় জমিয়েছেন গ্রামবাসীরা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে শুধু একবার সোনা দেখার সাধ। কিন্তু বিকেলের পর থেকে কেল্লার ভিতর অবাধ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর কর্মকর্তা জানিয়েছেন মাটির নীচে কোনও ধাতুর অবস্থান রয়েছে। আর তারই প্রেক্ষিতে এদিন থেকে এএসআই কর্মীরা খনন কাজ শুরু করেছেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা মাটির নীচে সোনা রয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নন।
এদিকে গ্রামবাসীদের দাবি সোনা উদ্ধার হলে তার ২০ শতাংশ গ্রামের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে হবে।