উন্নাও উত্তরপ্রদেশের ‘ধর্ষণের রাজধানী’! ১১ মাসে ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা এক জেলায়
২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর অবধি উন্নাওতে ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলাটি এখন ‘ধর্ষণের রাজধানী’ হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর অবধি উন্নাওতে ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলাটি এখন 'ধর্ষণের রাজধানী' হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। লখনউ থেকে ৬৩ কিলোমিটার এবং কানপুর থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই জেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩১ লক্ষ। সেখানেই ঘটে চলেছে একের পর এক ঘটনা।
খবরে প্রকাশ, ১১ মাসে শুধু এই একটি জেলা থেকে মহিলাদের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ১৮৫টি। উন্নাও জেলায় বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার মহিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া এই জেলায় কুলদীপ সেঙ্গারের ঘটনা ঘটে। সেগুলি ছাড়াও কয়েকটি মামলা হয়েছে। পূর্বায় এক মহিলার ধর্ষণের ঘটনায় ১ নভেম্বর এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে উন্নাওয়ের আসোহা, আজগাইন, মাখি ও বাঙ্গারমাউয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছে বা পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশের উপরই দোষারোপ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নাওয়ের পুলিশ পুরোপুরি রাজনীতি করছে। রাজনৈতিক নেতাদের অনুমতি ব্যতীত এক ইঞ্চিও এগচ্ছে না। পুলিশের এই মনোভাব অপরাধীদের উৎসাহিত করছে। উত্তরপ্রদেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু রাজনীতিবিদ উন্নাওয়ের ঘটনায় অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে ইউপি বিধানসভার স্পিকার হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিত, ইউপি আইনমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক এবং বিজেপির সাংসদ সাক্ষী মহারাজ রয়েছেন।
অভিযোগ, রাজনীতি এখানে অপরাধের সূত্রপাত করেছে। রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক সংখ্যা নির্ধারণের জন্য অপরাধকে ব্যবহার করছে এবং পুলিশ তাদের গোলাম হয়ে পড়েছে। বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের সাথে জড়িত উন্নাও ধর্ষণ মামলাটি এর সর্বোত্তম উদাহরণ।
ধর্ষণের শিকার হয়ে যখন প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তারপর প্রায় নয় মাস কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষে অভিযোগকারী লখনউয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ধর্নায় বসেছিলেন অভিযোগকারী। ধর্ষিতার বাবাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। মিডিয়ার চাপে পরে কুলদীপ সেঙ্গার ও তার ভাইকে গ্রেফতার করার পরেও পুলিশ ধর্ষিতার সুরক্ষা সম্পর্কে অবহেলিত থেকে গেছেন।