দেশে চলছে মসজিদ বিতর্ক, দক্ষিণ ভারতে ভাঙা হল দেবদেবীর মূর্তি
Array
সোমবার, ৩০ মে কর্ণাটকের হাসানে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মালেকাল্লু তিরুপতি মন্দির জাদুঘরের প্রদর্শনী কেন্দ্রে মূর্তিগুলি রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ১০টিরও বেশি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ আরাসিকেরেএকটি কুকুরের দল মোতায়েন করেছে এবং দুষ্কৃতিদের শনাক্ত করতে খানা তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। ভাঙা মূর্তিগুলি মন্দিরে বসানোর জন্য প্রস্তুত ছিল এবং কিছু মূর্তি তৈরি কাজ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া জানা গিয়েছে যে দুষ্কৃতিরা মূর্তি ভাঙার জন্য রড ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল।
জেলা পুলিশ সুপার শ্রীনিবাস গৌড়া বলেছেন যে মূর্তিগুলি একটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় রাখা হয়েছিল যা মন্দিরের অন্তর্গত নয়। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে বলে খবর মিলেছে।
এমনিতেই এখন দেশের সব মসজিদের তলাতেই হঠাৎ খোঁজ মিলছে হিন্দু মন্দির বা দেব দেবীর। জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক চলছে। মসজিদের মধ্যে রয়েছে শিবলিঙ্গ। তা নিয়েই বিতর্ক। শুধু এখানে নয় ভারতের বহু রাজ্যেই এখন এই সমস্যা চলছে। মথুরায় বলা হয়েছে মসজিদের তলায় ছিল নাকি হনুমান মন্দির। দিল্লিতেও এমন দাবি করা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছিল কুতুব মিনারও নাকি হিন্দু স্থাপত্যের অংশ। একই দাবি করা হয়েছিল তাজমহলের জন্যও। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই এএসআই এসে বাধ সাধে। তাজের নিচের অংশের ছবি প্রকাশ করে বলে দেয় ওসব কোনও শিব মূর্তি নেই। কুতুব মিনারের ক্ষেত্রে ছবি না দিলেও তা নিয়ে বিবৃতি দেয়।
সম্প্রতি এই এই তালিকায় নাম আসে দক্ষিণ ভারতের ম্যাঙ্গালুরুর। ম্যাঙ্গালুরুতে রয়েছে জুম্মা মসজিদ। তা নিয়েই শুরু বিপুল বিতর্ক। দাবি সেই একই, শুধু স্থান পরিবর্তন হয়েছে। সমস্যা হল বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে সেখানে জারি করতে হয়েছে ১৪৪ ধারা। বুধবার সকাল থেকেই সেখানে সমস্যা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। খবর মিলছে যে , এক হিন্দু সংঠনের দাবি করেছে যে ম্যাঙ্গালুরুর মালালিতে যে জুম্মা মসজিদ আছে তা নীচে নাকি রয়েছে এক মন্দির। সেই মন্দির যে রয়েছে তার কাঠামোর অস্তিত্বও তাঁরা খুঁজে পেয়েছে। তাই হঠাৎ করেই তারা এক নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। সেখানে গিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছে ওই সংগঠনটি। অনেকটা সেই লাউডস্পিকার কাণ্ডের মতো যেখানে সব মসজিদের সামনে হনুমান চালিশা পাঠের দাবি করা হয়েছিল।
গত কয়েকদিন ধরে এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এই খবর পুলিশের কাছে যেতেই দ্রুত ওই মসজিদের চারপাশের ৫০০ মিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, মালালি জুম্মা মসজিদের মেরামতি হচ্ছে। এই কাজের সময়ে সেখানে মন্দিরের মত একটি কাঠামো দেখা গিয়েছগে বলে দাবি তাদের। তাই বিষয়টির দ্রুত নিস্পত্তি চাইছে তারা। মসজিদ মেরামতির কাজ বন্ধের দাবিও জানিয়েছে রাখা। ভিএইচপি আবার আরও একধাপ এগিয়ে খেলেছে। তারা সরাসরি রাম মন্দির আন্দোলনের মতো বিশাল আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছে। দাবি, মালালি মন্দিরস্থলে নিঃসন্দেহে একটি মন্দির ছিল। এটা স্থানীয় হিন্দু্দের বিশ্বাস। আইনি লড়াইও করবে বলেছে তারা সঙ্গে হবে মসজিদের কাছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও।